জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

0

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়।

সোমবার (৮ নভেম্বর) পল্টন মোড় থেকে মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাওয়ার পথে জিরো পয়েন্টে মোড়ে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। পরে তারা সেখানেই সমাবেশ শুরু করে।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানে পাকিস্তানিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, ওরা আমাদের ভাতে মারতে চায়, ওরা আমাদের পানিতে মারতে চায়। আজকে পঞ্চাশ বছর পর তার কন্যা যখন ক্ষমতায়, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায়, তখন পাকিস্তানিদের মত বাংলাদেশের মানুষকে এখন তারা ভাতে মারতে চায়। বাংলাদেশের মানুষকে এখন তারা বাজারের আগুনে পুড়িয়ে মারতে চায়। সিন্ডিকেট বাজার দখল করে নিয়েছে। প্রত্যেকটা জিনিসের দাম মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। মানুষ এখন একদিন বাঁচলে আরেকদিন কিভাবে বাঁচবে সেটা তারা জানে না। এই অবস্থায় ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পরোটা দিয়ে এখন তারা জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে।

তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের সিন্ডিকেট এখন সরকারদলের নিয়ন্ত্রণে। এখন তারা জনগণের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতিদিন আত্মসাৎ করেন। নিচ থেকে উপর পর্যন্ত সেই টাকার ভাগ বাটোয়ারা তারা করে। সরকার বলে এটা নাকি মুক্তবাজার। বাংলাদেশে মুক্তবাজার বলে কিছু নেই। এজন্য বাজার যখন একটি জিনিসের দাম বাড়ে সেটি আর কখনো কমেনা। এই সরকার সিন্ডিকেটের সরকার। এই সরকার মুনাফাখোরদের সরকার, দুর্নীতিবাজদের সরকার।

সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, আমাদের লড়তে হবে। আমাদের পিঠ যেহেতু দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই এই সরকারকে লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পরাজিত করে অগ্রসর হতে হবে। ৪০ হাজার কোটি টাকা গ্যাস সিএনজি থেকে সরকার লাভবান হয়েছে। সেই ৪০ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো? সেই ৪০ হাজার টাকা ভর্তুকি দিলে আগামী ১৫ বছর গ্যাসের দাম যতই বাড়ুক আমাদের কোন ক্ষতি হবে না। গ্যাসের ভ্যাট অধিক ধরা হয়েছে। গ্যাস দাম ৮০ টাকা ভ্যাট চলে যাচ্ছে ৪০ টাকা। এই গ্যাসের টাকা দিয়ে নির্বাচনী ফান্ড হচ্ছে, চালের সিন্ডিকেটর টাকা দিয়ে নির্বাচনী ফান্ড হচ্ছে। নৌকা মার্কাকে জয়যুক্ত করার জন্য আয়োজন করা হচ্ছে। এই আয়োজনের দাত ভাঙা জবাব দিতে হবে। তার জন্য সবাইকে প্রস্তুত নিতে হবে।

সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com