‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি গণবিরোধী ও অগণতান্ত্রিক বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ। শনিবার (৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এ মন্তব্য করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার সম্প্রতি সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণের জীবনযাত্রাকে সীমাহীন সংকটের মুখে ফেলেছে। বৈশ্বিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির দোহাই দিয়ে পরিবহন ও শিল্পখাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পেট্রোলিয়াম পণ্য ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
‘কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এরই মধ্যে বিপুল জনগোষ্ঠী কর্মসংস্থান হারিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে। এ অবস্থায় নতুন করে মূল্যস্ফীতি সৃষ্টি হলে জনগণের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। এটা গ্রামীণ কৃষিনির্ভর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি সীমিত আয়ের শহুরে মধ্যবিত্ত পেশাজীবীদের জীবনযাত্রাকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলবে।’
হঠাৎ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি সুপরিকল্পিত মন্তব্য করে বিবৃতিতে বলা হয়, এটি জনগণকে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ফেলে দেওয়ার একটি কৌশল, যা অগণতান্ত্রিক ও গণবিরোধী। কেননা ছয় মাস আগে জ্বালানি তেলের দাম যখন বিশ্ববাজারে হ্রাস পেয়েছিল তখন সরকার অভ্যন্তরীণ বাজারে না কমিয়ে দাম অপরিবর্তিত রেখেছিল। এর মাধ্যমে সরকার গত অর্থবছরও চার হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে এবং গত সাত বছরে ৪০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে।
পেশাজীবী অধিকার পরিষদ মনে করে দুর্নীতি ও লুটপাটে নিমজ্জিত সরকার এ লভ্যাংশ কোনো জনবান্ধব কর্মসূচিতে ব্যয় করছে না। বরং মোগা প্রকল্পে বিনিয়োগের নামে লুটপাটের মহোৎসবে নিয়োজিত করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম না কমিয়ে আগে থেকেই সরকার জনগণের ওপর জুলুম করেছে। এখন নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির অপকৌশল গ্রহণ করছে, যা জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অবিলম্বে সরকারকে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বাজার ব্যবস্থাকে যথাযথ তদারকি করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া বৈশ্বিক বাজারের অস্থিরতা মোকাবিলার নামে গণবিরোধী আত্মঘাতী নীতি থেকে সরে এসে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায় পেশাজীবী অধিকার পরিষদ।