সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশীর লাশ এখনো পড়ে আছে
সিলেটের কানাইঘাট ডোনা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশীর লাশ এখনো পড়ে আছে। দু’দিন ধরে সীমান্তের ১৩৩১ নম্বর পিলার এলাকার নো ম্যানস ল্যান্ডে হতভাগা ওই দুই বাংলাদেশীর লাশ পড়ে থাকলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিহত বাংলাদেশী আসকর আলী ও আরিফ মিয়ার লাশ সীমান্তের বাংলাদেশ, না কি ভারত অংশে রয়েছে এ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ জন্য লাশ উদ্ধারে দেরি হচ্ছে বলে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে ১৯ বিজিবির সুরইঘাট ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দু’জনের লাশ উদ্ধারে বৃহস্পতিবার সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) পতাকা বৈঠক হয়েছে। পতাকা বৈঠকে বিএসএফ হত্যার দায় অস্বীকার করেছে। এমনকি লাশ দু’টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। যদিও বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে লাশ দু’টি ভারতের অভ্যন্তরে রয়েছে।
বৈঠকে লাশ যে স্থানে পড়ে আছে ওই স্থান কোন দেশে পড়েছে তা চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, লাশ ভারতের অভ্যন্তরে থাকলে ওই দেশে ময়নাতদন্ত হবে। এরপর আরেক দফা পতাকা বৈঠক করে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এতে লাশ উদ্ধার ও হস্তান্তরে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পারে। এ বিষয়ে বিজিবি-১৯ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল সুহেলের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, বিজিবি-বিএসএফ আলোচনা চলছে। লাশ উদ্ধার হলে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর কতো সময় লাগতে পারে- এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, বিষয়টি বিজিবি ভালো বলতে পারবে। আমরা কেবল লাশ বুঝে নিতে পারার দায়িত্ব রাখি।