দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য তরিকুল ইসলাম লড়াই করেছেন অমিত বিক্রমে: তারেক রহমান
দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য তরিকুল ইসলাম লড়াই করেছেন অমিত বিক্রমে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ জনাব তরিকুল ইসলাম এর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার দেয়া বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ তরিকুল ইসলাম ছাত্রজীবনে প্রগতিশীল ছাত্র-রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে মেহনতি মানুষের পক্ষের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন অবিসংবাদিত নেতা। ‘৭১ এ দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য তিনি লড়াই করেছেন অমিত বিক্রমে। মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ জিয়াউর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে বিএনপি-তে সম্পৃক্ত হয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উন্মেষ ঘটিয়েছিলেন। সেই থেকে বিএনপি’র সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধিতে এবং আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি ছিলেন সামনের কাতারে। রাজরোষে পড়া সত্ত্বেও তিনি নীতি ও আদর্শ থেকে কখনোই বিচ্যুৎ হননি। দেশ ও দলের স্বার্থে নিষ্ঠাসহকারে দায়িত্ব পালনে তিনি ছিলেন অগ্রপথিক। নিজস্ব মতাদর্শে তিনি ছিলেন নির্ভিক ও প্রত্যয়দৃঢ়।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের আমলে আদর্শনিষ্ঠ এই নেতার ওপর চালানো হয় চরম অমানবিক নিষ্ঠুরতা, পৈশাচিক শারীরিক নির্যাতন সত্ত্বেও এরশাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে তাঁকে বিন্দুমাত্র টলানো যায়নি। বারবার কারাবরণসহ নিপীড়ণ-নির্যাতন সহ্য করেও নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সাথে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে তাঁর নির্ভিক নেতৃত্ব সহকর্মীদের প্রেরণা যুগিয়েছে। মন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যানমূলক কাজে তিনি নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি কখনোই বিসর্জন দেননি। যখনই গণতন্ত্র বিপদাপন্ন হয়েছে তখনই স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে মরহুম তরিকুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।
দেশবাসী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চিরদিন তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তাঁর মৃত্যু জাতীয়তাবাদী শক্তির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি এবং অত্যন্ত মর্মস্পর্শী। মরহুম তরিকুল ইসলামের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।”