সাহস থাকলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন: দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আজ আপনারা (আওয়ামী লীগ) সাহসের কথা বলেন। সাহস থাকলে আপনারা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেন। সেই সাহস তো আপনাদের নেই।
বুধবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া কামনা উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘সাহস থাকলে তারেক রহমান দেশে আসুক’; প্রধানমন্ত্রীর এমন হুঁশিয়ারীর জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘আপনি একটু সাহস দেখান। লোকের সাহসের দিকে আপনার এত নজর কেনো? এই সাহস আপনার নাই। আপনি অন্যের সাহসের দিকে নজর দিয়েছেন, এই কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে জেলখানায়, তাকে ছেড়ে দেন। এই সাহস দেখান। এই সাহসটুকু যদি দেখান, তাহলে কেউ ফুলের মালা না দিলেও আমি আপনাকে ফুলের মালা দিয়ে আসব ‘
তিনি বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) গণতন্ত্রের সকল জানালা-দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। একা একা রাজনীতিক করছেন। সাহস থাকলে শহীদ জিয়াউর রহমানের মত সব অপেন করে দেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর সকল দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সাহস বাংলাদেশের মানুষ জানে, বেশি সময় নেয়া ঠিক হবে না। দেশের মানুষ গণতন্ত্র পছন্দ করে, স্বাধীনতা পছন্দ করে। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে যারা থাকে এদেশের মানুষ তাদের পছন্দ করে। স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে যারা থাকে তাদের এদেশের মানুষ পছন্দ করে না বলেই আয়ুব খান ক্ষমতায় থাকতে পারে নাই।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ১৯৭১ সাল এবং ৭ নভেম্বরের ইতিহাস যদি বোঝা না যায় তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস, স্বাধীনতার ইতিহাস পরিষ্কারভাবে বুঝা যাবে না। এই দুইটা বুঝতে হবে। ৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমানের ঘোষণা, যুদ্ধের ঘোষণা…। যুদ্ধের মহানায়ক জিয়াউর রহমান। আর আন্দোলন সংগ্রামের নায়ক হচ্ছে মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিবুর রহমান। কাউকে ছোট করা দরকার নাই।
কৃষকদলের সাবেক এই আহবায়ক বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম জিয়া আবার এদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। এটা আমার ইচ্ছা না, এদেশের মানুষ তাকে পছন্দ করে। তারেক রহমান এদেশের আবার আসবে। আসবে কারণ শেখ মুজিবুর রহমান যখন সপরিবারে নির্মমভাবে খুন হন, অনেকেই ভেবেছিলেন শেখ হাসিনা এদেশে আর আসতে পারবে না। শহীদ জিয়াউর রহমান তাকে আসার সুযোগ দিয়েছেন। তারেক রহমানও আসবে। তবে কৃতকর্মের মুখোমুখি সবারই হতে হবে।
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণদ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম প্রমুখ।