জলবায়ুবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে যাচ্ছে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের নেতারা একত্রিত হয়েছিলেন ইতালির রাজধানী রোমে। দুই দিনব্যাপী জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেন তারা। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্ব উষ্ণায়ন সীমিত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে একমত হলেও তেমন কোনো প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেননি বিশ্ব নেতারা। এর মাঝেই আজ সোমবার ( ১ নভেম্বর) জলবায়ুবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে যাচ্ছে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুরু হওয়া কপ২৬ সম্মেলনকে প্যারিস চুক্তি-পরবর্তী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সম্মেলন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এতে নতুন ঘোষণা দিতে পারেন বাইডেন। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জি-২০ সম্মেলনের পর এক মন্তব্যে বলেছেন যে তিনি হতাশ হয়েছেন, বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা না থাকায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে চীন ও রাশিয়া কোনো ধরনের প্রতিশ্রুতিমূলক বিষয় তুলে ধরেনি।
১৯ টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত জি-২০ জোটের দেশগুলোই বিশ্বে ৮০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। কিন্তু সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতেও নেতারা গ্রীন হাউস গ্যাস কমানো নিয়ে শক্ত কোনো অবস্থানের পথে হাঁটলেন না।
যদিও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি সম্মেলনের শেষ বক্তব্যে বলেছেন, জি-২০র সব দেশই নেট জিরো’তে পৌঁছানোর লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ৩১ অক্টোবর উদ্বোধন হওয়া বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন,কপ২৬ চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। জি-২০র পর নতুন করে কোনো চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ জলবায়ুবিষয়ক শীর্ষ কপ২৬ সম্মেলনেও, বলছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি