আ.লীগ রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বানায়, মন্তব্য আলালের
বিএনপি’র যুগ্ন মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, এরা আওয়ামী লীগের মেশিনের মধ্যে দিয়ে রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা বানায়, আর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বানায়। এরা একটি জাদুকরী দল আর জাদু ইসলামে নিষিদ্ধ। তাই এই নিষিদ্ধ দলকে মানুষের মন থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। সেটা করার জন্য যেখানে যেটা করার দরকার আমরা করব।
শনিবার ৩০ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে মানবাধিকার ও আইনের শাসন; ২৮ অক্টোবর শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আইনের শাসন দেশে আছে। ন্যায়বিচারের শাসন নাই। আইনের শাসন আছে বলে দেশের নতুন নতুন আইন হচ্ছে এবং তার ভিক্টিম হচ্ছে বিএনপি, জামায়াত ইসলামসহ ভিন্নমতালম্বী যারা আছে তারা।
তিনি বলেন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন হচ্ছে স্বাধীনতার সূর্য ডুবে যাওয়ার দিন। আর বাংলাদেশের বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর জন্ম হয়েছিল সেই ২৩ জুন। আওয়ামী লীগের জন্ম তারিখ হচ্ছে ২৩ জুন । যারা স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার দিনে নিজেদের নাম পছন্দ করে তাদের মানসিকতা জন্ম থেকেই বোঝা উচিত ছিল আমাদের।
যুবদলের সাবেক সভাপতি বলেন, ২৮ অক্টোবর যেটা হয়েছিল এটা শেখ হাসিনা সরাসরি নির্দেশে হয়েছিল। তিনি শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছিলেন সারাদেশ থেকে লাঠি বৈঠা নিয়ে আসছে তারপরে যে অবস্থা হয়েছিল এটা একটা নির্মম পরিস্থিতি হয়েছিল।
তিনি বলেন, এই সরকার হাত ধোয়া দিবস পালন করে এবং আরো বিভিন্ন দিবস পালন করে কিন্তু গুম দিবস পালন করে না। কারণ তারা ভিন্নমতের মানুষদের এত পরিমান গুম করেছে যে তারা এই দিবসটি পালন করতে লজ্জাবোধ করে।
এই সরকারের আমলে মানুষ কোনভাবে নিরাপদ নয় মন্তব্য করে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, পিলখানার ঘটনা থেকে শুরু করে রানা প্লাজা ধসের থেকে এই সরকারের আমলে এই দেশের মানুষ কোনভাবেই নিরাপদ না। না মুসলিম, বৌদ্ধ হিন্দু খ্রীষ্টান পাহাড়ি কেউ এই সরকারের আমলে নিরাপদ না। শুধু নিরাপদ আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, এরা আওয়ামী লীগের মেশিনের মধ্যে দিয়ে রাজাকারকে মুক্তিযোদ্ধা বানায়, আর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বানায়। এরা একটি জাদুকরী দল আর জাদু ইসলামে নিষিদ্ধ। তাই এই নিষিদ্ধ দলকে মানুষের মন থেকে নিষিদ্ধ করতে হবে। সেটা করার জন্য যেখানে যেটা করার দরকার আমরা করব।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।