খালেদা-তারেকের নেতৃত্বেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে: আব্বাস
খালেদা-তারেকের নেতৃত্বেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে বলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, নিত্যপণ্যের দাম একবার বাড়বে একবার কমবে, এটাই নিয়ম। কিন্তু বাংলাদেশে যখন বাড়ে তখন আর কমে না। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। কারণ, সিন্ডিকেট করে তারা (আওয়ামী লীগ) টাকা নিয়ে বিদেশে পাচার করে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়বাদী যুবদল আয়োজিত দ্রব্যমূল্যের উদ্ধর্গতির প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই অত্যাচার অনাচার করে ক্ষমতায় বেশিদিন টেকা যাবে না। সুতরাং আপনিও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। যত পেটান, যত মারেন, আমাদের কর্মীদের ক্ষমতা বাড়বে।
পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারী, আওয়ামী লীগের না। আপনাদের ঘরেও সন্তান আছে, যাদের গায়ে হাত তুলেন ভেবে দেখুন আপনার সন্তানের গায়ে কেউ হাত তুললে কেমন লাগবে। আমাদের টাকায় গুলি কিনছেন, আমাদের মারছেন। কিন্ত এক সময় আসবে এই সরকারের পতন ঘটবে। সময় আসবে তখন এই সরকারের একজনও মাঠে নামার সাহস পাবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমান নাকি লন্ডনে বসে এই সব মামলা হামলা পরিচালনা করছে। তিনি যদি লন্ডন থেকে এসব পরিচালনা করতে পারে তাহলে দেশে আসলে কি করবেন। সুতরাং কথা বলার সময় বুঝে শুনে কথা বলবেন। আমরাও কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকি না।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বিদেশ যাওয়ার ভিসা পাচ্ছেন না। অথচ কয়েকদিন আগে আমাদের দেশের একজন বিশেষ লোক ট্রিটমেন্ট করে দেশে আসলেন। দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তার ভিসা হয় না। কারণ তার অপরাধ, তিনি এদেশে গণতন্ত্র দিয়েছিলেন, এই দেশের গণ মানুষের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, এই বাংলাদেশে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় তিন তিনবার পূজা আর রোজা এক সাথে হয়েছে। সে সময় খালেদা জিয়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রেখেছিলেন। তখন কোন সাম্প্রদায়িক হামলা হয়নি। এই সরকার উস্কানি দিয়ে সাম্প্রতিক দাঙা লাগিয়ে তারা প্রমান করতে চাচ্ছেন তিনি অসাম্প্রদিক। এটা প্রমাণ করে তারা ক্ষমতা থাকতে চাচ্ছে। এটা আমরা হতে দিবো না।