খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই উন্নত চিকিৎসায় বাঁধা দিচ্ছে সরকার: নজরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকারের মন্ত্রীরা দাবি করেন, সরকারের মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসার জন্য কেন মানবিক হলেন না তারা?
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা অসুস্থ হলে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেই। অনেকেই নেয়। অথচ একটা দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, যিনি এতবার নির্বাচিত হয়েছেন, তাকে বিদেশে যেতে দেবে না। আসল কথা হলো, তারা খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। মন্ত্রীরা বলেন, সরকারের হাতে কিছু নেই। এটা আদালতের ব্যাপার। অথচ সরকার নিজেই তার মানবিক বিবেচনায় জামিন দিয়েছে বলে দাবি করে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিনা ভোটে নির্বাচিত। তাদের ভোট লাগে না। এজন্য যারা তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে দাঁড়াতে চায়, তারাও সাহস করে না। কারণ তারা জানে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জিততে পারবে না। আমরা দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে যোগ্য, সাহসী নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার চাই।
বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ইচ্ছে মতো মামলা দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুখে নির্ধারণ করে দেয় কার কোন মামলায় সাজা হবে! এ সিদ্ধান্ত তো তার না। আসলে এটা সরকারের কথা ও সিদ্ধান্ত। সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, কার কোন মামলায় সাজা হবে। যে সিদ্ধান্ত আদালতের, সেটা সরকার নেয়।
তিনি আরও বলেন, দুশ্চিন্তার কিছু নাই। ইতিহাস বলে ফ্যাসিস্ট সরকার নামাতে একটু সময় লাগে। নির্বাচনের মাধ্যমে তো হিটলারও ক্ষমতায় এসেছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে এসে পরে স্বৈরাচার হয়।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ডা. ফরিদুর রহমান, এলডিপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, পরিবেশবিদ মোস্তফা কামাল মজুমদার, জাগপার সভাপতি লুৎফর রহমান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন প্রমুখ।