হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও মন্দির ভাংচুরের পরিকল্পনা গণভবনে হয়েছে: রিজভী
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও মন্দির ভাংচুরের ঘটনার পরিকল্পনা গণভবন থেকে করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, সারাদেশে হামলার ঘটনায় যারা আটক হয়েছে সব ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মী। সত্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় এখন পুলিশকে দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরে নির্যাতন করে মিথ্যা নাটক সাজানো হচ্ছে। যা মানুষ বিশ্বাস করে না।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, আজকের প্রেক্ষাপট, সাম্প্রদায়িকতা অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ও দ্রব্য মূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদ’ শীর্ষক এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটিয়ে এখন বিএনপির উপর দোষ চাপাচ্ছে। রংপুরের পীরগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা সৈকত আটক হয়েছে, ছাত্রলীগ তাকে বহিষ্কার করেছে, তারপরও কিভাবে বিএনপি নেতাদের দোষারোপ করা হয়। কুমিল্লা, বেগমগঞ্জের ঘটনায় আওয়ামিলীগ জড়িত। পুরোহিতরাও বলেছেন, মন্দিরের নেতারা বলেছেন। সরকারকে বলব, এরপরও কী করে বলবেন আপনারা জড়িত নন? ঘন্টার পর ঘন্টা হামলা হলো পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এখন বিএনপি নেতাদের দোষারোপ করে লাভ হবে না। ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে নির্যাতন করা হচ্ছে এটা সবাই জানে।
রিজভী বলেন, সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আহ্বান জানিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বিএনপির আজকের শান্তিপূর্ণ এই মানববন্ধন। সেই মানববন্ধনও যদি সান্ধ্য আইনের মতো হয়? আজকের দেশের যে পরিস্থিতি, সেই পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির আহ্বান নিয়ে এই মানববন্ধন। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষায় রাজপথে নেমে এসেছে। যুগ যুগ ধরে আমাদের সাম্প্রদায়িক যে ঐক্য, সেই ঐক্য যারা বিনষ্ট করে তারা ষড়যন্ত্রকারী, তারা চক্রান্তকারী, তারা দেশের মঙ্গল চায় না।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রাখার ঘটনা, দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-এটা দুষ্কৃতিকারী ছাড়া অন্য কেউ করতে পারে না। আমাদের দীর্ঘদিনের যে সামাজিক বন্ধন এটা কেন বিনষ্ট করছেন। নিজের ব্যর্থতা, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি, চালের দাম দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি, পেঁয়াজ, মরিচ, ডাল ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য স্পর্শ করলেই মনে হয় বৈদ্যতিক শক করছে। প্রধানমন্ত্রী আপনি কি জনদৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে এসব করছেন।
কেরানিগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুজাদ্দিদ আলী বাবুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন মাস্টার, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।