বিএনপি আন্দোলনে আছে বলেই নেতাকর্মীদের নামে ৩৫ লক্ষ মামলা: টুকু

0

কে বলে বিএনপি আন্দোলন করে না এমন প্রশ্ন রেখে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, বিএনপি আন্দোলন করে বলেই তো নেতাকর্মীদের নামে ৩৫ লক্ষ মামলা হয়েছে। এদেশে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে আবার আন্দোলন হবে। আমরা সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আন্দোলনের পরে নির্বাচন হবে। খালেদা জিয়া আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘পরীমনির ঘটনা আর মন্দিরে কোরআন রাখার ঘটনা একই। সরকার কখন কোন রং ধারণ করে তার তো ঠিক নাই। মন্দিরে কোনো হিন্দু কোরআন রাখবে, এটা আমরাও কোনোদিন বিশ্বাস করি নাই। কোন মুসলমানও রাখে নাই তাহলে প্রশ্ন কে রাখলো? রেখেছে যারা সরকারে আছে তারাই।

টুকু বলেন, সরকারের নেতারা সেক্যুলারের কথা বলে। তারা সেক্যুলারের কথা বলে মন্দিরে কোরআন রাখার নাটক সাজায়। আমি বলি জাতীয়তাবাদের চেয়ে বড় সেক্যুলার আর নাই। কোনো হিন্দু মন্দিরে কোরআন রাখতে পারে এটা আমরা বিশ্বাস করি না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছিল। ভারতে যখন বাবরি মসজিদের ঘটনা ঘটে তখনও বাংলাদশে কিছু হয়নি। অথচ এখন সম্প্রীতি হুমকির মুখে।

বিএনপির সম্প্রীতি মিছিলেও সরকার বাধা দেয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আজকে আমরা সম্প্রীতির মিছিলও করতে পারি না। সেখান থেকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আজকে আন্দোলন করা খুব কঠিন হয়ে গেছে। একটা সময় আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি৷ তখন রিকশাওয়ালা রিকশা রেখে, দোকানদার দোকান বন্ধ করে মাঠে নেমে আসত। এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন আন্দোলনে নামার আগেই ভয় চাপে, যদি আমি গুলিবিদ্ধ হই কিংবা গ্রেপ্তার হই, তাহলে আমার পরিবারের কী হবে। অথচ আয়ুব খানের সময়েও আমরা তার বিরুদ্ধে মিছিল করেছি। তখনও পুলিশের কাছ থেকে আমরা অনুমতি নিয়েছি। তখনও পুলিশ বাধা দেয়নি।

জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছিলেন। তিনিই প্রথম ভাষণ দেন। মানুষ তখন আনন্দিত হয়েছিল যে, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী যুদ্ধে নেমেছে। এখন নানা কথা বলা হয়। আমরা তো বেঁচে আছি। আমরা তো এই ইতিহাস জানি। জনগণও জানে কে যুদ্ধ করেছে, আর কে করেনি। বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল। মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডারসহ বিএনপির দল ছিল সবচেয়ে বেশি। আর আওয়ামি লীগ তো যুদ্ধের সময় ছিল ভারতে। বিএনপি মাঠে থেকে যুদ্ধ করেছে।

নেতাকর্মীদের আন্দোলনে নামার আহবান জানিয়ে টুকু বলেন, আমাদের শক্ত আন্দোলনে নামতে হবে। যদি আমরা এ রাস্তা থেকে ফিরে আসি, তাহলে আমাদেরকে দাস হয়ে থাকতে হবে। এজন্য আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনেক ভেবে চিন্তা করেই আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেবেন। কোনো বিদেশি সরকার আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। আমাদেরকে আন্দোলন করতে হবে, রাজপথ গরম করতে হবে। তার পরেই তো ক্ষমতা।

এলডিপির সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসির সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন─ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com