আওয়ামী লীগ সরকার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে: মির্জা আব্বাস
সরকার সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, এমনি চালাকচতুর ও শয়তান সরকার মানুষকে বুঝতেই দিলো না কিভাবে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেল। আমরা এতদিন পর বুঝতে পারলাম চিনির দাম বেড়ে গেছে, তেলের দাম বেড়ে গেছে। চতুরতার সাথে এ মূল্য বৃদ্ধি করেছে তারা। সিন্ডিকেট করে মূল্য বৃদ্ধি করেছে তারা। যখন দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে তখন তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে দিয়েছে। এখন কেউ দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা বলে না। কতটুকো চতুর সরকার, কতটুকো হায়না সরকার, কতটুকো লুটেরা সরকার যে লুট করছে বুঝতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, আজকে এই সরকার এত সমস্যায় দেশটাকে ঠেলে দিয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। এর একটিই সমাধান, এই সরকারকে তাড়াতে হবে। এই সরকারকে তাড়াতে না পারলে এদেশের মানুষের সুখ শান্তি আসবে না। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ধীরস্থিরভাবে আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই সরকারের বিরুদ্ধে আমাদেরকে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। তা না হলে দেশকে বাঁচানো যাবে না।
মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের মানুষ বোকা না। দেশের মানুষ ভুলে যায়নি আজকের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবো। ১০ টাকাতো দূরের কথা কেউ ৪০ টাকা কেজি চাল খেয়েছে আমার জানা নাই। ঘরে ঘরে চাকুরী দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু কোন ঘরে চাকুরী দিয়েছে আমার জানা নাই। তবে হ্যাঁ আমাদের ঠেঙ্গানোর জন্য অনেক পুলিশ নিয়োগ দিয়েছেন। চাকুরী সাধারন মানুষ পেয়েছে আমার জানা নাই। আর চাকুরী দিয়ে থাকলেও যাদের ভেতরে বিএনপির গন্ধ আছে, যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে এমন পরিবারের কাউকে চাকুরী দেয়া হয় নাই।
তিনি বলেন, এই সরকার জানে জনগণের ভোটে তারা আসে নাই ও জনগণের ভোটে তারা কখনোই আসতে পারবে না। এই জন্য সরকার টিকে থাকার জন্য যা যা করা দরকার তা করেছে। টাকা দরকার বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করো, মানিলন্ডারিং করে বিদেশ পাঠিয়ে দাও। প্রতিটি নেতা-কর্মীকে টাকা দিয়ে ভরপুর বানিয়ে দাও আর সাধারণ মানুষকে ফকির বানিয়ে দাও।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, চাকুরীর বদলে ঘরে ঘরে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। কারণ তারা বিএনপিকে ভয় পায়, বিএনপি নেতৃত্বকে ভয় পায়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়, তারেক রহমানকে ভয় পায়। তাই তারেক রহমান যাতে দেশে আসতে না পারে সেজন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা এই সরকার করেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাঁদির ভুঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।