চীনকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের নয়া কৌশল
চীন আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিরূপ সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। পার্শ্ববর্তী দেশ তাইওয়ানের সঙ্গেও চীনের সম্পর্ক ভালো নয়। চীন বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে আসছে। অন্যদিকে তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন দেশ হিসেবে দাবি করে আসছে।
তাই চীনকে চাপে রাখতে তাইওয়ানকেই অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারের ঘোষণা সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার নেড প্রাইস জানান, তাইওয়ানের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধটা প্রস্তর কঠিন। ওই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখতে এটা খুবই জরুরি। আমরা সবসময় বন্ধুদের পাশে দাঁড়াব। গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের সঙ্গে আমরা আগামী দিনেও সম্পর্ক আরও জোরদার করে যাব।
যদিও তিনি দাবি করেছেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ ও বলপ্রয়োগ বন্ধ করার জন্য চীনের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এভাবে তাইওয়ানের দাঁড়ানোকে চীনের ওপর চাপ সৃষ্টির নয়া কৌশল হিসেবে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, এক বছর ধরে গোপনে তাইওয়ানের স্থল ও নৌসেনাদের যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অভিযান বাহিনী ও মেরিন সেনারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাইওয়ানের একাধিক কর্মকর্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে তাইওয়ানের সেনাদের গোপনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চত করেছে।
তবে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। অন্যদিকে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটির সত্যতা নিশ্চিত বা নাকচ করেনি যুক্তরাষ্ট্র।
বিষয়টি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ সম্পর্ককেও আরও উস্কে দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার উত্তেজনা বেড়েছে। তাইওয়ানের আকাশসীমায় বেশ কয়েকবার চীনা যুদ্ধবিমান প্রবেশ করেছে। এছাড়া তাইওয়ানের জলসীমাতেও চীন সমারিক মহড়া চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন, চীন ও তাইওয়ানের সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।