অনির্বাচিত ও এক দলীয় সরকারের অধীনে সার্চ কমিটি হলে আগের মতো পুনরাবৃত্তি ঘটবে: শাহাদাত
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনগুলো ভোট ডাকাতির নিকৃষ্টতম নিদর্শন দেখিয়েছে। বিগত সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের কমিশনারগুলো নিরপেক্ষ হয়নি, অযোগ্য ও ব্যর্থ নির্বাচন কমিশন ছিল। ২০১৪ সালে রকিব উদ্দিনের অধীনে নির্বাচন, ২০১৮ সালে কে এম নুরুল হুদার অধীনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে কোনটি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ হয়নি। একদলীয় ও একতরফা নির্বাচন হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে দেশে-বিদেশে ও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। তার পরেও সরকার নির্লজ্জভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। ফলে অনির্বাচিত ও এক দলীয় সরকারের অধীনে সার্চ কমিটি হলে আগের মতো পুনরাবৃত্তি ঘটবে। অযোগ্য ও একদলীয় নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সেই নির্বাচন কমিশনও একইভাবে একদলীয় সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে আদালতে হাজিরা শেষে কোর্ট হিল চত্বরে বক্তব্যকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, একটি সুন্দর নির্বাচন কমিশন গঠন করলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত এই দেশে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। এদেশের জনগণ চায় আগে নির্বাচন কালীন সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন হউক। দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হউক। তারপর সেই নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠন করতে পারলেই সেই নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য কমিশন হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান, নগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক এস. এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মোঃ শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আব্দুল মান্নান, সদস্য এডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, কামরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, আলহাজ জাকির হোসেন, দিদারুল আলম, মোঃ ইকবাল হোসেন।
আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট তারেক আহমেদ, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এডভোকেট শাহীন, অ্যাডভোকেট এম আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট নেজাম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আবদুস সবুর, এডভোকেট জাহিদ বিন রশিদ, প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।