তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবো না, অন্য রাজনৈতিক দলকেও যেতে দেয়া হবে না: হাফিজ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। অন্য রাজনৈতিক দলকেও অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। এবার বিএনপি যে আন্দোলনের ডাক দেবে তাতে তরুণরা রাজপথে নেমে আসবে।’
সোমবার (৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মো. ইবরাহিমের জন্মদিন উপলক্ষে ‘রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব শুধু বিএনপির একার নয়, প্রত্যেকটি নাগরিকের। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজপথে নেমে আসতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের ফলে অতীতেও স্বৈরশাসককে বিদায় নিতে হয়েছে। আরেকটি আন্দোলন আপনারা দেখবেন। সরকারকে বিদায় নিতে হবে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, এই একদফা দাবিতে যাবো আমরা।’
তিনি বলেন, ‘গত তিনটি নির্বাচনে আমি ভোট দিতে পারিনি। ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার আগেই আমার লঞ্চ ভেঙে দিয়েছে। পরে পুলিশ প্রটোকলে গেলাম। ৪০ হাজার মানুষ সেখানে স্বাগত জানিয়েছে। নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় এসে গ্রেফতার করলো, আমি নাকি ফোনে কি বলেছি। নানা অত্যাচার করেছে। নোবেল দেওয়া যায় অত্যাচারের জন্য।’
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘৭১ সালে অসংখ্য মৃত্যুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। আজকে যারা এত কথা বলেন, তারা কী করেছেন? কী তাদের অবদান? আজ দেশে বাকস্বাধীনতা নেই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই। আগে মানুষ রাজনীতি না করলেই নিজেকে নিরাপদ মনে করতো। কিন্তু আজ সেটিও নেই।’
সরকারের উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার বলে, বাংলাদেশ নাকি আজ উন্নয়নের রোল মডেল। একটা পদ্মা সেতুতেই কি উন্নয়ন হয়? হাসপাতালে আইসিইউ নেই, বেড নেই। এতই যদি উন্নয়ন হয় জাতিসংঘের সদর দপ্তরের সামনে নাইজেরিয়া, সোমালিয়ার মতো যে ৪টি দেশের মানুষ বিক্ষোভ করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ কেনো?’
এসময় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মো. ইবরাহিমের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার দলের নেতাদেরকে আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অনুষ্ঠানের সভাপতি ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ এর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসির, ফোরকান ইব্রাহিম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতসহ আরও অনেকে।