অবৈধ সরকারের যাওয়ার সময়টা আমাদের অতি সংক্ষেপে করতে হবে: গয়েশ্বর
জনগণ কিন্তু এখন তার ভাগ্যের রদবদল সম্পর্কে খুব সচেতন। কারণ যারা অপরাধ করে প্রত্যেকে কিন্তু কোন না কোন ভাবে ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যায়। আইনের আওতায় থেকে তারা মুক্তি পায়। তাদের যথাযথ শাস্তি জনগণ যেভাবে প্রত্যাশা করে তা হয় না। যেটা আইনি প্রকৃয়ায় হওয়া উচিত, কিন্তু সেটা হয় না।
গতকাল রবিবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘শেখ হাসিনা যাবে এ কথার কোন সন্দেহ নাই। হাসিনার যাওয়ার পর তো কেউ না কেউ ক্ষমতায় আসবেন। সেটা যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে আপনারা ভবিষ্যতে কি করবেন? এটা মনে হয় জনগণকে জানানো খুব জরুরি। কারন হাসিনার যে নিষ্পেষণ, নির্যাতন, মুদ্রাপাচার দুর্নীতি এগুলো মোটামুটি ঘরে ঘরে যানা হয়ে গেছে। এ থেকে জাতি মুক্তি চায়, মানুষ মুক্তি চায়। সে মুক্তির লক্ষ্যে আপনারা ভবিষ্যতে কি কি পদক্ষেপ নিবেন। অথবা তারা (আওয়ামী লীগ) যে সমস্ত অপকর্ম করছেন তা যেন আল্লাহ আমাদের মাধ্যমে না করান। পাশাপাশি এগুলোর সুষ্ঠু বিচার হবে কিনা।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বেশি জরুরি যে হাসিনা যাবেন। আমরা সেই আন্দোলন সফল করতে পারবো। কারণ জনগণের ইচ্ছে শক্তির কাছে কোন শক্তি টিকে থাকতে পারে না। ইতিহাস থেকে শিক্ষা এটা সকলেই জানে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কোনো জুলুম অত্যাচার নির্যাতনের মধ্য দিয়ে খানিক স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠিত করলেও বেশিক্ষণ থাকে না। সুতরাং তুলনা মূলক ভাবে সে বেশি সময় থেকেছে। তার যাওয়ার সময়টা আমাদের অতি সংক্ষেপ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এখন জিয়াউর রহমানের কথা আমাদের মনে করতে হবে। যে কথা কম কাজ বেশি করতে হবে। বলা আমাদের অনেক হয়ে গেছে কাজ আমাদের বাকি রয়ে গেছে। আমরা সেই দিকে মনোযোগী হই এবং জনগণের মধ্য দিয়ে আগামী দিনের একটি সুন্দর রাষ্ট্র। অর্থাৎ জিয়ার বাংলাদেশ যেই স্বপ্ন নিয়ে জিয়াউর রহমান দেশ স্বাধীন করেছে সেই জিয়ার বাংলাদেশের মানুষ কেমন আছে? সেটা আমরা ভাবি এবং ভবিষ্যতে সকল জুলুম, নির্যাতন থেকে তাদেরকে মুক্ত করা এবং জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি নাগরিকের যে নাগরিক অধিকার সেই অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার নামই মনে হয় গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রুপ।’