ধর্ম ব্যবসায় সফল আওয়ামী লীগ: আলাল
মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ কোন ধর্মের মানুষই এই সরকারের আমলে নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি এড সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
তিনি বলেন, আলেমরা তো এই সরকারের আমলে নিরাপদ নয়ই। আলেমরা তো সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার অন্য ধর্মের লোকও এই সরকারের আমলে নিরাপদ নয়।
গতকাল রবিবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগের যখন প্রয়োজন হয় তখন ভারতে গিয়ে তিলক চন্দন পড়ে। আবার যখন প্রয়োজন হয় তখন ইসলাম বিক্রি করে দেয়। আবার প্রয়োজনে ইসলামী দলগুলোর সাথে ঐক্য করে। আসলে এদের আমলে কোন ধর্মই নিরাপদ নয়।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছে এছাড়াও বিএনপি’র আমলে হাতেগোনা ২-১টা ছাড়া সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ভাঙচুর হয় নাই। ১৯৭২ থেকে ৭৫ আওয়ামী লীগের সময় দেখবেন যত হিন্দুদের সম্পত্তি ঘর বাড়ি দখল করেছে তার প্রায় ৯০ শতাংশ লোক হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, মন্ত্রীরা। যারা ভয়ে ভারতে গিয়েছিল তাদের প্রত্যেকের বাড়িঘর দখল করেছে এই আওয়ামী লীগের নেতারা।
তিনি আরো বলেন, রমনা কালী মন্দির ভেঙেছে শেখ মুজিব জীবিত থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। হিন্দুদের দেবী মূর্তি ভাঙ্গা, দেবীর সামনে থেকে স্বর্ণ অলংকার চুরি করা সব কিছু করেছে আওয়ামী লীগের নেতারা। অথচ আজ তারা (আওয়ামী লীগ) ধর্মের নামে ব্যবসা করে সফল হয়েছে। এই রাজনীতি বিএনপি’র করার প্রয়োজন নাই। এই রাজনীতি জিয়াউর রহমান করে নাই। বেগম খালেদা জিয়া করে নাই। আমরাও করবো না এটা সবার মাথার মধ্যে রাখতে হবে।
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, রামুতে বৌদ্ধ মন্দির ভেঙ্গেছে কারা? এই আওয়ামী লীগের লোকেরা। গাইবান্ধায় সাঁওতাল পল্লীতে আগুন লাগিয়ে ছিল এই আওয়ামী লীগের লোকেরা এবং জ্যাকেট পরা ডিবির লোকেরা। একটা ঘটনার বিচার হয়েছে? হয় নাই। ঢাকা মহানগরে তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা হয়েছে। তার বিচার হয়েছে? হয় নাই। মিরপুরের কালসীতে বস্তি দখলের জন্য আগুন লাগিয়ে দিয়ে নয় জন মানুষকে পুড়িয়ে আঙ্গার করে দিয়েছে বিচার হয়েছে? হয় নাই। শবে বরাতের রাতে যুবক, ছাত্রদের ডাকাত আখ্যা দিয়ে পুলিশ, আওয়ামী লীগের লোকদেরকে লেলিয়ে দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার বিচার হয়েছে? হয় নাই। সুতরাং মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বদ্ধ যে যেখানে আছেন এই সরকারের আমলে নিরাপদ নয়।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেন, নির্বাচন নির্বাচন খেলা নিয়ে নির্বাচন কমিশন নামক কোন আইন পাস করার জন্য খবরদার সংবিধানে হাত দেবেন না। সংবিধানকে যা খুশি তাই করেছেন। সংবিধানকে কখনো মাথায় নিয়েছেন কখনো পায়ের তলে ফেলেছেন। কখনো আদর করেছেন কখনো ধর্ষণ করেছেন। এইবার সংবিধানে হাত দিবেন না। এই নাটকীয় পার্লামেন্টের কোন অধিকার নাই সংবিধানে হাত দেওয়ার। সব দলের মতামতের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন করে তারপরে সেটা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বৈধ কোন সংসদের মাধ্যমে এই সংসদের মাধ্যমে নয়।