সরকারের ‘দুর্নীতি’ থেকে জাতি মুক্তি চায়: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
জনগণ কিন্তু এখন তার ভাগ্যের রদবদল সম্পর্কে সচেতন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, অপরাধীরা কোনো না কোনোভাবে ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যায়। আইনের আওতা থেকে মুক্তি পায়। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের শাস্তি হয় না। যেটা আইনি প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত, সেটাও হয় না।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে সরে গেলে কেউ না কেউ আসবেন। সেটা যদি বিএনপি আসে, আপনারা ভবিষ্যতে কী করবেন? এটা মনে হয় জনগণকে জানানো খুব জরুরি। কারণ বর্তমান সরকারের দুর্নীতি মানুষের জানা হয়ে গেছে। জাতি এ থেকে মুক্তি চায়।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘এখন জিয়াউর রহমানের কথা আমাদের মনে করতে হবে। তিনি কথা কম বলে কাজ বেশি করতেন। অনেক কথা বলা হয়ে গেছে, কাজ বাকি আছে। আমরা সেই দিকে মনোযোগী হবো। প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবো।’
এসময় ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেসারুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদারের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।