রোহিঙ্গাদের না ফিরিয়ে সমস্যা পুষে রেখেছে হাসিনা সরকার শুধুমাত্র নোবেল পাওয়ার আশায়: আলাল
বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি এড সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরানোর সুযোগ ছিল কিন্তু ফিরিয়ে দেয় নাই। সহানুভূতি দেখিয়েছেন নোবেল পাওয়ার জন্য।
গতকাল শুক্রবার ১ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজের উদ্যোগে বাংলাদেশ ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিশ্বে অনেক রাজনৈতিক পরিবর্তন এসেছে। সেই পরিবর্তনের কোনো এক ষড়যন্ত্রের শিকার এই রোহিঙ্গা সমস্যা, যেটা আওয়ামী লীগ লালন-পালন করে রেখেছে নোবেল পাওয়ার জন্য। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের প্রচুর টাকা বিদেশে খরচ করা হয়েছে নোবেল পাওয়ার জন্য। যথাসময়ে দলিল তুলে ধরব যদি বেঁচে থাকি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরানোর সুযোগ ছিল কিন্তু ফিরিয়ে দেয় নাই এই নোবেল পাওয়ার জন্য। সহানুভূতি নিয়ে নোবেল পাওয়ার জন্য। আর এখন রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহকে মেরে বোঝাতে চাইছে শেখ হাসিনা না থাকলে জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। এটা এখন বাংলাদেশের মানুষ বুঝে।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, তিনি (হাসিনা) তিলক চন্দন দেই। যারা ধর্ম বিক্রি করতে পারে তারাদেশ বিক্রি করতে পারে। এদের আওয়ামী লীগের কাছে কোনো কিছুই অসম্ভব না। এদের সব কথার উত্তর কেন দিতে হবে?
উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে কর্মী তৈরি করা বা নেতৃত্ব তৈরি করার যে প্রক্রিয়া এটা থেমে গেছে যদি বলেন, তাহলে আজকের প্রোগ্রামের যারা উদ্যোক্তা তাদেরকে বলব,১৯৯১ নির্বাচনকালীন সময়ে বিএনপি অত্যন্ত দুর্বল ছিল। সেসময় নমিনেশন কিভাবে দিয়েছে তার পাশে বসে দেখেছি। স্কুলের মাস্টার, ইউনিয়নের মেম্বার, পুলিশ থেকে অবসর করিয়ে তাঁদেরকে নমিনেশন দিয়েছেন। লোক পাওয়া যেত না ধানের শীষের নমিনেশন কাকে দেবে। শেখ হাসিনা বলেছিল দশটা আসন পাবে না বিএনপি। সেই বিএনপির দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিল। কেন পেয়েছে মানুষের ভালোবাসা ছিল মানুষ এই রাজনীতি পছন্দ করেছিল।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আলাল আরো বলেন, বিএনপি এই শূন্যতা পূরণ করার জন্য নব্বইয়ের আন্দোলনের পরে বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রদেরকে জাতীয় রাজনীতিতে এনেছেন না? এমপি বানিয়েছেন না? মন্ত্রী বানিয়েছেন না? কেন তারা কর্মী নেতা তৈরি করে নাই তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন না কেন? কেন বানায় নাই আমাকে বলেন। ২০০১ এর নির্বাচনের পরে আমি সহ হাতেগোনা কয়েকজন বাদে সবাই তো ছাত্রনেতা ছিল। আমানুল্লাহ আমান থেকে এ্যানিসহ প্রত্যেককেই ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। তারা কর্মী তৈরি করে নাই কেন? আগে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন তারপর না হয় নীতিনির্ধারকদের জিজ্ঞাসা করবেন।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এই নেতা বলেন, বিএনপি নেতৃত্ব শূন্য পূরণের যে পদক্ষেপ বেগম খালেদা জিয়া নিয়েছিল সেখানে ব্যর্থ হয়েছে কারা? সেদিকটা দৃষ্টি দিতে হবে। সেদিকটায় দৃষ্টি জিনিস দিবেন তাকে তো সোনার খাঁচায় বন্দী করে রাখা হয়েছে। সেই খাঁচা থেকে বের করতে পারলেই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। সেই প্রচেষ্টা তাই আমাদেরকে করতে হবে কাউকে দোষারোপ করে নয়।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহ আব্দুল্লাহ আল বাকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম( ভিপি শহিদ) এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ ( ভিপি হারুন), সহ স্বনির্ভর সম্পাদক নিলুফার চৌধুরী মনি প্রমুখ।