ডিসেম্বর ৩০—গণতন্ত্র হত্যা দিবস রোববার, ডিসেম্বর ২৯ — জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিক্ষোভ সমাবেশ
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু করতে ঐক্য সুসংহত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি বৈঠকের পর ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমাদের ঐক্যকে সুসংহত করে আমাদের যে ভোটাধিকার এটাকে আমাদের আদায় করতে হবে। নির্বাচনকে অর্থপূর্ণ করতে হবে। ঐক্যকে আরো সুসংহত করে ভোটাধিকারকে পুরোভাবে যাতে আমরা ভোগ করতে পারি, জনগণ মতার মালিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারি। এই ঐক্যের ভিত্তিতে আমরা সকলে দাঁড়াব, আপোসহীনভাবে এটাকে (ঐক্য) ধরে রাখবো।
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সংগ্রাম সংগ্রাম সংগ্রাম চলবে চলবে। ২৯ তারিখে বেলা ২টার সময়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর যে ভোট ডাকাতি হয়েছে সেই ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি হবে। এটাই আজকের সভার সিদ্ধান্ত। এই কর্মসূচিতে যদি বাধা দেয়া হয় তাহলে এই বিক্ষোভ চলতে থাকবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরানো যায়।
প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে পুলিশের অনুমতি আপনারা চেয়েছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে রব বলেন, নো পারমিশন। প্রেসক্লাবের সমানে পারমিশন কিসের? নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ৩০ ডিসেম্বর, আপনারা কেনো ২৯ তারিখ কর্মসূচি দিলেন জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ডাকাতিটা ওদিন হয়েছিলো ২৯ তারিখ রাতে। সেজন্য আমরা এই কর্মসূচি দিয়েছি। কোনো বাধা দিলে আরো দুইদিন আমরা কর্মসূচি রাখবো।
মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে তার সভাপতিত্বে স্টিয়ারিং কমিটির এই বৈঠকে রব ও মান্না ছাড়া বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গণফোরামের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, বিকল্পধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন, শাহ আহমেদ বাদল, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।