সনজিত-সাদ্দামসহ ৩৭ জন ছাত্রলীগ ও কথিত ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ এর সন্ত্রাসীকে আসামি করে ভিপি নুরুল হক নুরের মামলা।
ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ তার সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় সনজিত-সাদ্দামসহ ৩৭ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভিপি নুরুল হক নুর।
মামলার আসামী সন্ত্রাসীরা হচ্ছেঃ
(১) সনজিত চন্দ্র দাস, সভাপতি, ঢাবি ছাত্রলীগ
(২) সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, ঢাবি ছাত্রলীগ
(৩) আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ
(৪) আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ
(৫) সনেট মাহমুদ, সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাবি
(৬) ইয়াসির আরাফাত তুর্য, সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাবি
(৭) মারিয়াম জাহান খান, ভিপি, সূর্যসেন হল সংসদ
(৮) শেখ মুহাম্মদ তানিন, সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাবি ছাত্রলীগ
(৯) আব্দুর আলীম খান, ভিপি, এ এফ রহমান হল সংসদ
(১০) আবু ইউনুস, এজিএস, বিজয় একাত্তর হল সংসদ
(১১) রাকিবুল হাসান ঐতিহ্য, সদস্য, ডাকসু
(১২) মাহমুদুর হাসান, সদস্য, ডাকসু
(১৩) সাদ বিন কাদের চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক, ডাকসু
(১৪) রবিউল হােসেন রানা, সহ-সভাপতি, ঢাবি ছাত্রলীগ
(১৫) নিয়ামত উল্লাহ তপন, শিক্ষাবিষয়ক উপ-সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ
(১৬) হাসিবুল হাসান শান্ত, জিএস, জিয়া হল সংসদ
(১৭) সিফাতুজ্জামান খান, ক্রীড়া সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ
(১৮) মিজানুর রহমান মিজান, জিএস, মহসীন হল সংসদ
(১৯) ফেরদৌস আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ
(২০) আব্দুর রহিম সরকার, জিএস, এ.এফ রহমান হল সংসদ
(২১) তানজিল ইমরান তালাশ, সাহিত্য সম্পাদক, এএফ রহমান হল সংসদ
(২২) মাহমুদুল হাসান বাবু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, ঢাবি ছাত্রলীগ
(২৩) সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক, জিয়া হল ছাত্রলীগ
(২৪) মামুন বিন সাত্ত্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।(২৫) ইবনুল হাসান উজ্জ্বল ও
(২৬) খাজা খায়ের সুজন, উপ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ
(২৭) খান মিলন হােসেন নীরব, এস এম হল ছাত্রলীগ
(২৮) ইমরান আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কবি জসীমউদ্দিন হল ছাত্রলীগ
(২৯) হৃদয় হাসান সাহাগ, গণশিক্ষা সম্পাদক, ঢাবি ছাত্রলীগ
(৩০) উজ্জ্বল, চারুকলা ছাত্রলীগ
(৩১) আরিফুল ইসলাম
(৩২) ফাতিমা রিপা, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ
(৩৩) আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ (জামাল গ্রুপ)
(৩৪) আইনুল ইসলাম মাহবুব, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ
(৩৫) মেহেদী হাসান নিবিড়
(৩৬) মেহেদী হাসান শান্ত, জিএস,বঙ্গবন্ধু হল সংসদ ও
(৩৭) জীবন রায়, সহসভাপতি, ঢাবি ছাত্রলীগ।
মামলায় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসকে এক নম্বর ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন শাহবাগ থানায় ভিপি নুরের পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে নুর মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন সনজিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হোসাইন।
এ বিষয়ে আখতার হোসেন বলেন, নুর নিজে বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় আমি তার পক্ষ হয়ে মামলার অভিযোগ পত্রটি থানায় জমা দিয়েছি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সময় আনুমানিক দুপুর ১২টায়, আমি, আমার সংগঠনের সদস্যরা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমার কক্ষে অবস্থান করি। হঠাৎ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা আমার কক্ষে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা করে চলে যায়।
তারা যেন আবারও হামলা করতে না পারে, তাই ডাকসু কর্মচারীদের সহায়তায় ডাকসুর মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসু’র এজিএস সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ডাকসু কর্মচারীদের সরিয়ে মূল ফটকের তালা খুলে আমার কক্ষে প্রবেশ করে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ২য় দফা হামলা চালায়। তারা আমার কক্ষের বাতি নিভিয়ে দিয়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র সহকারে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
মামলার এজাহারঃ
হামলায় আমার ডান হাত ও ডান পাঁজর মারাত্মকভাবে জখম হয়। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের নিম্নোক্ত নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত হয়— (১) ফারুক হাসান, যুগ্ম-আহ্বায়ক, ছাত্র অধিকার পরিষদ (২) মুহাম্মদ রাশেদ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক (৩) এপিএম সুহেল,যুগ্ম-আহবায়ক(৪) হাসান আল মামুন, আহ্বায়ক (৫) আমিনুর ইসলাম (৬) তুহিন ফারাবী (৭) মেহদী হাসান(৮) নাজমুল হাসান (৯) আয়াতুল্লাহ বেহেশতী (১০) রবিউল হোসেন (১২) মশিউর রহমান,
যুগ্ম-আহ্বায়ক (১৩) সাইফুল ইসলাম, (১৪) আবু হানিফ, যুগ্ম-আহ্বায়ক, (১৫) আরিফুর রহমান সহ ৩০ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়ে ফারাবী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন। অন্যান্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই অতর্কিত হামলায় প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দেন সনজিত চন্দ্র দাস ও সাদ্দাম হোসাইন।
ছাত্রলীগের অজ্ঞাতনামা আরও ৪০ থেকে ৫০ জন নেতাকর্মী এই হামলায় প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয় বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।