ভিপি নুরসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ

0

ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলার প্রতিবাদে ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস মুভমেন্ট ফর বাংলাদেশ ২৩শে ডিসেম্বর পূর্ব লন্ডনের ঐতিহাসিক আলতাব আলী পার্কে মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে। এতে বিপিপি, কুইন ম্যারি, মিডলসেক্স, লন্ডন, সাউথব্যাংক, ও কার্ডিফ ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া আইনজীবি, শিক্ষক, পেশাজীবী, সাংবাদিকসহ ব্রিটিশ-বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিগণও সমাবেশে যোগদান করেন। একই সময়ে ইউনিভার্সেল ভয়েস ফর জাস্টিসের কর্মীরাও আলতাব আলী পার্কে উপস্থিত থেকে নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে বক্তব্য প্রদান করে ও শ্লোগান দেয়। 

ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস মুভমেন্ট ফর বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্র ব্যারিষ্টার আবু সায়েম মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যেদিন মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক রায়ে জেলে পাঠানো হয়, সেদিন থেকেই বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে দুটি শক্তির পরিচয় নিশ্চিত হয়ে যায়। একটি বাংলাদেশের পক্ষের দেশপ্রেমিক শক্তি। অন্যটি প্রতিবেশী দেশের পক্ষের দেশবিরোধী শক্তি। আওয়ামী লীগ দেশবিরোধী শক্তির প্রতিনিধি। যারাই দেশপ্রেম নিয়ে কথা বলবে, তারাই টার্গেট হবে। 

বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর উপস্থিতিতে বক্তাগণ বলেন, ডাকসুর ভিপি নুরুর উপর একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। মেরে তার আঙ্গুল ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছে অসংখ্য মেধাবী সাধারণ ছাত্রছাত্রী। ভিপি নুরকে বাঁচাতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ফারাবী আজ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তাদের সবার একটাই অপরাধ, তারা দেশের পক্ষে কথা বলেছেন। তারা দেশপ্রেমিক।  বক্তারা আরও বলেন, অবৈধ সরকার ভারতের সেবাদাস হয়ে কাজ করছে। এদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই গুম-খুন-নির্যাতনের শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষ ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের। আবরারকেও হত্যা করেছে এ দেশবিরোধী শক্তি। অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদে আজ সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে কুখ্যাত ছাত্রলীগ। অপরদিকে দেশপ্রেমিক শক্তিতে নিশ্চিহ্ন করতে মাঠে নামানো হয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নামক তথাকথিত এক সংগঠনকে। এরা ভারতের তাঁবেদার ও দালাল হিসেবে দেশে ত্রাসের রাজত্ কায়েম করেছে।  ছাত্রলীগ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৈশাচিক টর্চার সেল তৈরি করে রেখেছে ভিন্নমতাবলম্বীদেরকে শায়েস্তা করতে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরবে এসব নির্যাতন সহ্য করে এসেছে গত দশ বছর। বক্তাগণ বলেন, ছাত্রলীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এটাকে এক্ষুনি নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। শুধু আবরার নয়, শেখ হাসিনার সরকার বিনা বিচারে খুন করেছে জনি, নুরু, বাপ্পী, মিলনসহ শত শত নেতাকর্মীকে। বক্তারা অনতিবিলম্বে সারা বাংলাদেশে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধকরণ দাবি জানান।অন্যথায় তারা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেন। তারা বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তারা দেশ রক্ষায় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

মানববন্ধন ও সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুবনেতা মোস্তাফিজুর রহমান, শেখ নাছির উদ্দিন, আবু নোমান সোহাগ, রাসেল, সাবেক ছাত্রনেতা জুল আফরোজ মজুমদার,জিয়া হাসান, মো: আনিসুল হক, সালমান সাদি, মোহাম্মদ তানজিল ইসলাম, আল নাহিয়ান বিন মুরাদ, ফয়েজ উল্লাহ, মাকসুদুর রহমান,মো: শাহিদুর রহমান,লুৎফুর রহমান, মো: রবিউল আলম, সামিউজ্জামান সিদ্দিকী,মো: কামরুল হাসান রনি,সাংবাদিক মাসুদুজ্জামান মাসুদ, ফজলে রহমান পিনাক প্রমুখ।

ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস মুভমেন্ট ফর বাংলাদেশ আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পরিচালনা করেন ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম মিরাজ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com