গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে জনগণের বিজয় হবেই: বিএনপি

0

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিজয়ের আশা দেখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নিজের জেলায় আন্দোলনের ব্যাপারে জনগনের ব্যাপক স্বতস্ফূর্ততার বিষয়টি তুলে ধরতে গিয়ে গতকাল শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব্ এই আশার কথা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমার বয়স অনেক হয়েছে। তারপরেও আমি খুব আশাবাদী মানুষ। আমি আরো আশাবাদী হয়েছি গত তিনদিন আমার জেলাতে (ঠাকুরগাঁও) আমি পাঁচটি উপজেলায় সফর করেছি। আমি দেখেছি মানুষের মধ্যে কী অভূতপূর্ব সাড়া। মানুষ সব দাঁড়িয়ে আছে, নিজের শক্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তারা শুধু… যখনই শুরু হবে আন্দোলন, যখনই শুরু হবে সরকারকে পরাজিত করার যুদ্ধ এবং তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে এই নিশ্চয়তা আমি দেখেছি।

‘আসুন অতীতের যে আন্দোলন গুলোতে আমরা জয়লাভ করেছি সেই আন্দোলনগুলোর মতো করে একটা জনগনের ঐক্য সৃষ্টি করে একটা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদেরকে পরাজিত করে আমরা জনগনের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করি, আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা করি-এই হোক আজকে আমাদের শপথ।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কখনোই ভেঙে পড়বেন না, সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে থেকে তো আমাদেরকে উঠে আসতে হবে। আমাকে জেগে উঠতে হবে, আমার আশে-পাশের মানুষগুলোকে জাগাতে হবে। আজকে আমার যারা তরুণ যুবক আছেন তাদেরকে জাগাতে হবে। এই যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে-এর কোনো বিকল্প নেই এবং সেটা অতিদ্রুত করতে হবে। যতদিন যাবে ততই বাংলাদেশ, জাতি সব বিনষ্টের পথে যাবে।’

‘আমাদের মনে রাখতে হবে, যারা আজকে এই ভয়াবহ একটা দানবীয় সরকারের মাধ্যমে আমাদেরকে নিষ্পেষন করছে, নির্যাতন করছে তাদেরকে যদি আমরা প্রতিরোধ করতে না পারি, তাদের যদি আমরা ব্যর্থ করে দিতে না পারি, তাদেরকে যদি পরাজিত করতে না পারি তাহলে এই অবস্থা কিন্তু চলতেই থাকবে। আমাদের কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। সেজন্য আজকে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্য গড়ে তোলা।’

জাতীয় বিশ্ববি্দ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি একাত্মতা ও সমমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আজকের এই অনুষ্ঠানে আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব আছেন। এটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নয়, অন্যান্য দফতরগুলোতে, অন্যান্য বিভাগসহ বি্ভিন্নসহ জায়গায় বাংলাদেশী ভালোবাসা মানুষগুলো চাকুরিচ্যুত হয়েছে তারা মনের বল ফিরে পাবে, তারা শক্তি ফিরে পাবে এবং এই আশ্বাস যে, বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব জনগনের মাধ্যমে আবার ফিরে পায় তাহলে তাদের সমস্ত সমস্যা সমাধান করা হবে সম্মানের সাথে- এই বিষয়গুলো অবশ্যই আমাদেরকে আশান্বিত করে।’

‘আমরা বলতে চাই, আপনারা একা নন, আমরা আছি আপনাদের সঙ্গে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো এবং জয়ী হবো ইনশাল্লাহ।’

২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ১০১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির চাকুরিচ্যুতির দশ বছরপূর্তি দিবস উপলক্ষে ‘চাকুরিচ্যুতিদের মানবেতর জীবনযাপন’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়।

ড. ফারুক আহমেদ শিপনের সভাপতিত্বে ও একেএম ওয়াহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েম্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরিচ্যুতদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজিবুর রহমান, আজিজুল হক, উর্মি রহমান, নুরুন্নাহার লাকী, ইয়াকুব মিয়া, আমির হোসেন, মিয়া হোসেন রানা, রবিউল ইসলাম রবি, আবদুল হালিম, আবু হানিফ খন্দকার, মামুনুর রহমান, আশরাফুল আলম, আকরাম হোসেন বক্তব্য রাখেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com