জাফরুল্লাহ’র কিছু বক্তব্য ফ্যাসিবাদকে উৎসাহিত করে ও আন্দোলনকে ব্যাহত করে: ফখরুল

0

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বিভ্রান্তকর ও উল্টাপাল্টা কথাবার্তা না বলতে অনুরোধ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ে সাংগঠনিক সফরে এসে গতকাল সোমবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১, দুপুরে, তাঁর নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ অনুরোধ করেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ীই তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে আছেন। তারেক রহমান আগেও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। দলের মধ্য থেকেই তিনি ধারাবাহিকভাবে এই পদে এসেছেন। তিনি বিদেশে থেকেও সফলতার সঙ্গে জাতীয়তাবাদী দলকে সুসংগঠিত করছেন। তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিটি নেতা-কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। এখানে নেতৃত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না। দল তাঁর (তারেক রহমান) হাতে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং তিনি অত্যন্ত কৃতিত্বের সঙ্গে, অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে , অচিরেই দল সুসংগঠিত হবে এবং একটা আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারব। যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী-ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, জাফরুল্লাহ সাহেবের বয়স হয়ে গেছে। তিনি অত্যন্ত সম্মানিত লোক, জ্ঞানী-গুনি লোক। কিন্তু বয়স হয়ে গেলে মানুষ কিছু উল্টোপাল্টা কথা বলতেই পারেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদে তারেক রহমানকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে তার মন্তব্যটা যুক্তিসংগত না। তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, কথা বলছেন। কিন্তু তিনি একবারও ভাবছেন না, এসব কথা বললে ফ্যাসিবাদী বিরোধী আন্দোলন কিছুটা ব্যাহত হবে।

মির্জা আলমগীর বলেন, আমি তাঁকে (ডা.জাফরুল্লাহ) অনুরোধ জানাব, যে সমস্ত কথায় জনগণ বিভ্রান্ত হয় সেসব কথা যেন তিনি না বলেন। তারেক রহমানই হচ্ছে বিএনপির নেতা। তারেক রহমানই আমাদের সুসংগঠিত করছেন। পুরো দল তাঁর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন সময় চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। যখন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ হলে তখন অনেকেই বলেছেন বিএনপি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু বিএনপি ধ্বংস হয়নি। বিএনপি আবার খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আবার জেগে উঠেছে। গত ১২ বছর ধরে শুধু বিএনপি নয়, গোটা দেশে একটা বড় রাজনৈতিক সংকট-অস্তিত্বের সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালে আমাদের যে অর্জন ছিল স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ও পরবর্তীতে নব্বইয়ের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে গণতন্ত্র অর্জন করেছিলাম, এই পুরো বিষয়গুলো আওয়ামী লীগ ধ্বংস করছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপি একটা বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে সংকটের সামনে আছে। এ সময়ে আমাদের দলের বড় যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা হলো দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশের বাইরে নির্বাসিত করা হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বিএনপিই করবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com