এদেশ কোনো বক্তৃতায় নয়, বুকের রক্ত দিয়ে ‘স্বাধীন’ হয়েছে: হাফিজ
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, ‘রৌমারী মুক্তিযুদ্ধের একটি গৌরবময় ইতিহাস, আমাদের গর্বের স্থান। জেড ফোর্সের অধীনে এই অঞ্চলটি ছিল স্বাধীন দেশের মুক্তাঞ্চল। ২৮ আগস্ট আমাদের জেড ফোর্সের কমান্ডার জিয়াউর রহমান সেখানে বেসামরিক প্রশাসনের উদ্বোধন করেন। ওই সময় রৌমারীর জনগণ ট্যাক্স দেওয়ার জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতো। তারা জানে যে, তাদের ট্যাক্সের টাকায় মুক্তিযুদ্ধের প্রচেষ্টা আরও জোরদার হবে। জিয়াউর রহমান কেবলমাত্র একজন সমর নায়কই ছিলেন না, কীভাবে বেসামরিক প্রশাসন চালাতে হবে একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তিনি রৌমারীতে।’
বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘২৮ আগস্ট ১৯৭১: জিয়াউর রহমান কর্তৃক রৌমারীতে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম বেসামরিক প্রশাসনের উদ্বোধন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজকে ইতিহাসের এমনই বিকৃতি ঘটেছে যে, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা কি-না এটাও আমাদের বক্তৃতা দিয়ে বলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশিদের বক্তব্য কিংবা ইতিহাসের যে নির্মোহ সত্য এগুলোকে ভুলিয়ে দেয়ার জন্য বর্তমান সরকার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা, জেড ফোর্সের বীরত্বগাঁথা, রৌমারীর সেই মুক্তাঞ্চলের আকাশ-বাতাস, বৃক্ষ-লতা সব কিছুই সাক্ষী দেবে যে, জিয়াউর রহমান মহান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এই অবৈধ সরকার, অনির্বাচিত সরকারের কথায় দেশবাসী মোটেও আলোড়িত হবে না। মিথ্যা আর কত টিকবে এখানে?’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা একটি অবরুদ্ধ দেশে বসবাস করছি। আজকে প্রয়োজন সেই গামছাপরা, গেঞ্জি গায়ে দেয়া গ্রামীণ মুক্তিযোদ্ধাদের। তাদেরকে এসে শহর দখল করতে হবে, তাদেরকে দেশবাসী সামনে পরিচয় দিতে হবে কারা মুক্তিযুদ্ধে করেছিল এই দেশে আর কারা বিদেশে গিয়ে আরামে ছিল।’
‘এদেশ কোনো বক্তৃতায় স্বাধীন হয় নাই। বুকের রক্ত দিয়ে ইতিহাস করেছি আমরা। জেড ফোর্সের একজন সৈনিক হিসেবে আমি অত্যন্ত গর্বিত। স্বাধীনতাযুদ্ধে সবচাইতে ভয়াবহ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে জেড ফোর্স, আমাদের যেমন খেতাবধারীর সংখ্যা সর্বাধিক তেমনি শহীদের সংখ্যাও আমাদের সর্বাধিক। আজকে ইতিহাসকে বিকৃতি করে সেই গৌরবের কথা জনগণের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না।’