দেশটা ভাষণের মাধ্যমে ‘স্বাধীন’ হয়নি, হয়েছে ‘যুদ্ধের’ মাধ্যমে: গয়েশ্বর
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আসুন আর কোনো বিভেদ নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি সফল আন্দোলন গড়ে তুলি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যা যা করা প্রয়োজন আমাদের করতে হবে। এই আন্দোলনে মহিলা দলসহ দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের রাজপথে নামতে হবে।
সোমবার রাজধানীর শাজাহানপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়ার সুস্থতা, তার দীর্ঘায়ু ও মুক্তি কামনায়’ দোয়া মাহফিল এবং গরীবদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস’র বাড়ির আঙ্গিনায় এই অনুষ্ঠানে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন-সাবেক সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি, হেলেন জেরীন খান প্রমুখ।
মহিলা দলের অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জন্মদিনও ব্যতিক্রম ভাবে পালন করা হচ্ছে। যেদিন জন্মদিন পালন করার কথা ছিল সেদিন না করে আগে পিছে করা হচ্ছে। এই ব্যতিক্রম থেকে বের হওয়ার জন্যই কিন্তু একটি আন্দোলন দরকার।
মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা করেছেন জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে। এই যুদ্ধে অনেকেরই অবদান রয়েছে এ কথা অস্বীকার করার কিছু নাই। কিন্তু মনে রাখতে হবে দেশটা ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীন হয়নি, স্বাধীন হয়েছে যুদ্ধের মাধ্যমে।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার অবদানের কথা উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আগামী জন্মদিন ঢাকায় দেশনায়ক তারেক রহমানকে সঙ্গে নিয়ে পালন করব। তার আগে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।