পরোয়ানা পেলেই ডিআইজি মিজানকে গ্রেফতার
জেটিভি রিপোর্ট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ডিআইজি মিজানুর রহমানকে নিয়ে দুদকের সংশ্লিষ্ট বিষয় দুদকই দেখবে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা পেলে আটক করা হবে।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন যতোই শক্তিশালী হোক, সমাজের মানুষ ঐক্যবদ্ধ না হলে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। মাদক নির্মূল করতে হলে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
মাদকের বিরুদ্ধে আরো কঠোর হওয়ার পাশাপাশি মাদক সেবনকারীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অবশেষে বরখাস্ত হলেন ডিআইজি মিজান
নানা ঘটনায় আলোচিত-সমালোচিত পুলিশের ডিআইজি মিজানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাষ্ট্রপতির দফতরে পাঠানো চিঠিতে অনুমোদনের পরই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু এই তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন মিজানুর রহমান। তার ঘুষ দেয়ার প্রমাণ মেলার পরই এই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত সোমবার তিন কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদ গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানসহ আরও ৩ জনকে আসামি করে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার বাকি তিন আসামি হলেন– মিজানুর রহমানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মো. মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। এ মামলার পরপরই আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছেন।
২০১৮ সালের ৩ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানকে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। প্রথমে ডিআইজি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। পরবর্তীতে এই তদন্তের দায়িত্ব পান এনামুল। পরে গত ১২ জুন অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ পান দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদ।