ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করতে হবে: নজরুল
২০ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ওআইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সকলকে ধৈর্য সহকারে ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতান্ত্রিক পন্থায় সরকার পতনের আন্দোলন জোরদার করতে হবে।
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে ‘করোনা, লকডাউন ও জনদুর্ভোগ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায়প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জোট শরিকদের উদ্দেশ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা ইতোপূর্বে জোট ছেড়েছেন তারা কেউ ভালো নেই। এই সরকার দিনের ভোট রাতে চুরি করে ক্ষমতায় টিকে আছে। হামলা–মামলা, নির্যাতন–নিপীড়নের মাধ্যমে তারা মানুষকে দমিয়ে রেখে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। ২০ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী রায় দিয়ে আটকে রেখেছে।
তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোট আন্দোলন–সংগ্রামের মধ্যদিয়ে পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত। সরকার অনেকক প্রলোভন দেখিয়ে ও জোটকে ভাঙতে পারেনি। তাই জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী দুঃশাসন থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন–সংগ্রাম জোরদার করতে হবে।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একসাথে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার কথাও এ সময় বলেন তিনি।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা: মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অংশ নেন ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টি (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মো: ইসহাক, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব🙂 সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতিক, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকীব, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিপির কারী আবু তাহের, জাতীয়দলের অ্যাড. সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, মুসলিম লীগের অ্যাড. জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, পিপলস লীগের অ্যাড. সৈয়দ মাহবুব হোসেন, সাম্যবাদী দলের সৈয়দনুরুল ইসলাম, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. জহুরা খাতুন জুঁই, লেবার পার্টির মাহবুবুর রহমান খালেদ, এস এম ইউসুফ আলী, জহিরুল হক জহির, আবদুর রহমান খোকন, মোহেবুল্লাহ আল মেহেদী প্রমুখ।
সভা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার মাগফেরাত ও চিকিৎসাধীনদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।