আওয়ামী লীগের হত্যা-ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের রাজনীতি ‘গণতন্ত্র’ বিকাশের বড় বাঁধা
আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে বেআইনি ভাবে গণতন্ত্রকে ধবংস করে ফেলেছে, গণতন্ত্রেরসব সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
বৈধ আয়ের পথ ছাড়াই রাতারাতি বিত্তশালী বনে যাওয়া ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীরা আজ দেশের বড় আপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের বেপরোয়া কর্মকান্ড দেশ ও সমাজের সর্বস্তরে অসম পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে, ঘটাচ্ছে সীমাহীন বিশৃঙ্খলা।সমাজে কোন্দল–সংঘাত, জবরদখলদারি, একচ্ছত্র আধিপত্যের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাসহ লাগামহীন অপরাধ–অপকর্মের নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা। তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে শাসন–শোষণের মাধ্যমে রাতারাতি সম্পদ বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা। ফলে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, তদবিরবাজি থেকে শুরু করে সব ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে বাধাহীন ভাবে।
বর্তমান সরকারের শাসনামলে দেশের সর্বত্র দুনীতির মহোৎসব চলছে। এসব দুর্নীতির সঙ্গে চরিত্রহীন শিক্ষিত কর্মকর্তারাই জড়িত। এমনকি বর্তমানে শিক্ষাঙ্গনে অবৈধ সরকার, দলীয় ছাত্র সংগঠনের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। যা–কিনা সংবাদপত্রের প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভিকারুননিসা প্রিন্সিপালের ফোনালাপেই প্রমাণিত।
১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের আত্মত্যাগ আর দুই লাখ মা–বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালিজাতি ছিনিয়ে আনে বিজয়ের লাল সূর্য। মুক্তিযুদ্ব চলাকালীন ছিলো তিন মূলমন্ত্র। অথচ সাম্য–মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার স্বাধীনতার মুক্তিযুদ্বের এই তিন মূলমন্ত্রের একটিও আজ বাংলাদেশে অবশিষ্ট নেই। বর্তমান সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত রেখেছে।
সরকার সারা দেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি‘র অসংখ্য নেতাকর্মীকে হামলা–মামলা ও গুম–খুন করা সহ সকলবিরোধী রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের দমন করার উদ্দেশ্যে তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য হয়রানিমূলক গায়েবি মামলা করেছে এবং করে চলেছে। বিচার বিভাগ কার্যত সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। ফলে সরকারের হস্তক্ষেপে সরকারের রাজনৈতিক বিরোধীরা আদালতেও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এমতাবস্থায় দেশকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন গণতন্ত্র। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্বশর্ত মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
তাই আমাদের দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দেশের প্রতিটি মানুষের এখনকার নৈতিক দায়িত্ব।
আর সেই নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্তব্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের শক্তি দিয়ে এই অপশক্তিকে পরাভূত করা। কেননা ঐক্যবদ্ধ জনগণই ইতিহাসের নির্মাতা।
দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এই দায়িত্ব আমারও, আর তাই যতদিন বাঁচবো আমার জায়গা থেকে আমিও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব ইনশাআল্লাহ এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে লড়াইয়ের মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করাই আমার কাম্য।
পরিশেষে দেশের প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষদের বলতে চাই, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শপথ করি, আর উচ্চস্বরে বলি আমাদেরযে অধিকার তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নিজেদের আরও বিকশিত করতে চাই। আমাদের ভবিষ্যৎ বংশধরের জন্য সত্যিকার অর্থেই একটা আবাসস্থল গড়ে তুলতে চাই, যেখানে তারা মুক্ত অবস্থায় বাস করতে পারবে। আসুন সেই লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের ওপর যে দানব বসে আছে, তার থেকে দেশকে মুক্ত করি। এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য–মানবিকমর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করি।
–ডালিয়া লাকুরিয়া