ঈদ-উল-আযহা’র আনন্দ ও ত্যাগের অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক প্রতিটি নাগরিকের জীবন
আনন্দ ও ত্যাগের অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত পবিত্র ঈদ–উল–আযহা। পবিত্র এই দিনে আমরা কোরবানির মাধ্যমে তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে থাকি। পাশাপাশি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন এবং মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করে সবার মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করি।
কেননা পবিত্র কোরআনের সুরা হজ্ব এর ৩৭নং আয়াতে বলা হয়েছে, আল্লাহতায়ালার দরবারে কোরবানীর পশুর মাংস কিংবা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না, বরং তোমাদের তাকওয়া তাঁর কাছে পৌঁছায়। এভাবেই তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যেন তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করতে পারো–এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন। আর সুসংবাদ দাও সৎকর্ম পরায়ণদের।
এবারও আমাদের মাঝে এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঈদ–উল–আযহা এসেছে। বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা ভাইরাসের থাবা। বাংলাদেশেও এ অদৃশ্য শত্রুর আক্রমণ। প্রতিদিনই আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। এমনকি অনেক পরিবার নুন আনতে পান্তা ফুরোচ্ছে, শিক্ষা–প্রতিষ্ঠান বন্ধ, দেশের অর্থনীতির অবস্থাও খাদের কিনারে, সবমিলিয়ে দেশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
কোভিড–১৯ এর উদ্ভূত দুর্যোগময় পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের ধৈর্য্য, সাহস ও শক্তি প্রয়োজন। আসুন, আমরা মহানসৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করি যে, তিনি যেন আমাদের সেই তাওফিক দেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত/শান্তি কামনা করছি। পাশাপাশি তাদের পরিবারের শোকসন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
ঈদ–উল–আযহা আমাদের শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়। সঞ্চারিত করে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা। এ মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে।
পবিত্র ঈদ–উল–আযহার আনন্দ ও ত্যাগের অনন্য মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবন। এই দিনে মানুষে মানুষে প্রীতি ও বন্ধনের যোগসূত্র আরও সুদৃঢ় হোক। এই প্রত্যাশায় বিশ্বের সকল নির্যাতিত–নিপীড়িত মুসলিম উম্মাহ, এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে গুম–খুন হওয়া পরিবার ও মিথ্যা মামলায় কারা বন্দীদের পরিজন সহসকল সহকর্মী–সহযোদ্ধা ভাই–বোন আত্মীয়, স্বজন সহ সকল শুভানুধ্যায়ীদেরকে জানাই পবিত্র ঈদ–উল–আযহার শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ, ঈদ মোবারক।
–ডালিয়া লাকুরিয়া