সরকারের চরম ব্যর্থতা ও উদাসীনতায় মানুষকে নির্মমভাবে জীবন দিতে হচ্ছে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক শোক বিবৃতিতে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে হাসেম ফুডস ফ্যাক্টরীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন শ্রমিক–কর্মচারীর মর্মান্তিক মৃত্যুতেগভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোকবার্তায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “মর্মান্তিক এই অগ্নিকাণ্ড ও মৃত্যু সংবাদে আমি গভীরভাবে ব্যথিত ও শোকাহত। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গ ওসহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। একই সাথে সঠিক তদন্ত করে অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটন, নিহত ও আহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং তাদের পূনর্বাসনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, কোভিড–১৯ মোকাবেলায় সরকার কঠোর বিধি–নিষেধ আরোপ করলেও গণপরিবহন বন্ধ রেখে মিল–ফ্যাক্টরী চালু রেখেছে। সরকারের এই কাণ্ডজ্ঞানহীন সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপাকে পড়েছে শ্রমিক–কর্মচারী ও দিনমজুর মানুষ।হাসেম ফুডস ফ্যাক্টরীর শ্রমিক–কর্মচারীরা চাকুরী বাঁচাতে লকডাউনে গণপরিবহন না পেয়ে কষ্ট স্বীকার করে পায়ে হেঁটে কারখানায়কাজ করতে যেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অঙ্গার হলো। এই মর্মান্তিক মৃত্যু মেনে নেয়া কঠিন।
তারেক রহমান অভিযোগ করে বলেন, সরকারের চরম ব্যর্থতা এবং উদাসীনতায় কল–কারখানা সমূহে কাজের নিরাপদ ও সুষ্ঠুপরিবেশ নাই। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করলেও শ্রমিক–কর্মচারীরা নিজ কর্মক্ষেত্রেও এখন নিরাপত্তাহীন। বিষয় গুলো জন্য সরকারের একাধিক দফতর থাকলেও কেবল মাত্র সরকারের উদাসীনতা ও সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে তারা নির্লিপ্ত। বিগত বছরগুলোতে এধরণের অনেক ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু পুনরাবৃত্তি রোধে সরকার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেয়ারফলে বার বার দূর্ঘটনা ঘটছে ও নিরীহ মানুষকে নির্মম ভাবে জীবন দিতে হচ্ছে।
এছাড়াও তিনি এধরণের অগ্নিকাণ্ড ও দূর্ঘটনা থেকে ফ্যাক্টরী ও শ্রমিক–কর্মচারীদের রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান, এবং অগ্নিকান্ডে আহত শ্রমিকদের দ্রুত সুচিকিৎসা প্রদানেরও আহবান জানান।