আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তে জাতি হতাশ, বিক্ষুব্ধ: ফখরুল

0

জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন শুনানি পিছিয়ে দেওয়ায় সর্বোচ্চ আদালতের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি।

স্বাস্থ্য পরিস্থিতির প্রতিবেদন চূড়ান্ত হলেও বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন ঠেকাতে সরকারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে তা আদালতে জমা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।

এনিয়ে আদালতের আদেশের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধী দলীয় নেত্রী ৭৩ বছর বয়সী ‘সবচেয়ে জনপ্রিয়’ নেতা খালেদা জিয়াকে প্রচলিত রীতি মেনে জামিন না দিয়ে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।

“আপিল বিভাগের এই সিদ্ধান্ত আজকে সমস্ত জাতি শুধু হতাশই হয়নি, বিক্ষুব্ধ হয়েছে। আমরা উদ্বিগ্ন-বিক্ষুব্ধ। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ক্রমাবনতিতে গোটা জাতি আজকে উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে উন্নত চিকিৎসার জন্যে তার মুক্তিটা অবশ্যই প্রয়োজন।”

‘চিকিৎসার অভাবে’ দলের চেয়ারপারসনের প্রাণহানির শংকা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তার চিকিৎসা না হওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের ক্রমাবনতির সমস্ত দায়-দায়িত্ব ‘অনির্বাচিত সরকার ও সরকারপ্রধানকে’ নিতে হবে।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিষয়ে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন জমা না দেওয়া তার জামিন প্রশ্নে শুনানি পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর দিন রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ।

ফখরুল বলেন, “আমরা যতটুকু জানি, বলতে পারেন যে, আনঅফিশিয়াল সূত্রে আমরা জানি যে, গত রাতেই আপনার রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়ে গেছে এবং সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে আজকে তার জামিনকে বাধা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, নতুন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনের সঙ্গে পুরনো বোর্ডের প্রতিবেন জমা দেওয়ার কথা ছিল বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্যের।

গত ৩০ নভেম্বর বিএসএমএমইউয়ের চার চিকিৎসকের বোর্ডের প্রতিবেদনে তুলে ধরে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। প্রতিদিন অতি দ্রুত পঙ্গুত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন; প্রায় পঙ্গু হয়েই পড়েছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন সাহায্য ছাড়া একেবারে চলতে পারেন না, বিছানা থেকেও উঠতে পারেন না। মারাত্মক স্বাস্থ্যের অবনতির পরেও সরকার ক্রমাগত তার জামিনে বাধা দিচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা অপেক্ষা করবো। সাত দিনের কথা বলা হয়েছে। এই সাত দিনের মধ্যে ….।”

মুক্তি না দিলে কি করবেন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মুক্তি না দিলে স্থায়ী কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com