খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন: মির্জা ফখরুল

0

পোস্ট কোভিড থেকে মুক্ত হলেও পুরনো রোগের জটিলতায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বাস্থ্য ঝুঁকিতেই আছেন বলেমন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজধানীর এয়ারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসনের সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে শুক্রবার সকালে একসংবাদ সম্মেলন তিনি এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের মেডিক্যাল বোর্ডের সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছে, উনার মিনিমাম যে প্যারামিটার গুলো আছে পোস্ট কোবিডের থেকে উনি মোটামুটি বেটার। ফান্ডামেন্টাল কিছু সমস্যা রয়েছে যে সমস্যা্ গুলো উদ্বেগজনক। একটা হচ্ছে তার হার্টের প্রবলেম তার একুয়েট আছে, কিডনির প্রবলেম একুয়েট আছে। এই দুইটি নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড উদ্বিগ্ন আছেন। উনার মনে করছেন যে, বাংলাদেশে যে হাসপাতাল গুলো আছে, এডভান্স সেন্টারগুলো আছেসেগুলো যথেষ্ট নয় উনার টিট্রমেন্টের জন্য।

তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছেন যে, উনার(খালেদা জিয়া) এডভান্স টিট্রমেন্ট দরকার, তার অসুখগুলো নিয়েএডভান্স সেন্টারে যাওয়া জরুরী। আমরা সেটা বার বার বলছি।

খালেদা জিয়ার এই বিষয়গুলো নিয়ে জামিনের জন্য আদালতে যাবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগেও বলেছি, এরকম প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়েছিদুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়ে্ছে আদালতে। একেবারেরাজনীতি থেকে শুরু করে আইনগত ভাবে আদালতে ক্ষতিটা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করেছে আদালত, তারপরে যাবতীয় যেসমস্ত গুলো আইন করেছে তাআদালত করেছে। আর ম্যাডাম খালেদা জিয়ার প্রতি যদি চরম অন্যায় করে থাকে তাহলে আদালত করেছে। কোনো আইনেইকোনো ভাবেই তার সাজা হতে পারে না এবং তার আবার বর্ধিত করা যেতে পারে না। ওই জায়গায় আদালতের প্রতি আস্থাটা আমাদের এতো কত যে, আমাদেরকে ধীরে সুস্থে চিন্তাভাবনা করে আদালতে যাবো।

উল্লেখ্য গত ২৭ এপ্রিল পোস্ট কোভিড জটিলতায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে হৃদরোগে বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে। গত মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দুই নল নিয়ে স্থাপন করে তার ফুসফুসে পানি অপসারনকরা হয়। গত জুন চিকিতসকদের পরামর্শে তাকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়।

সিসিইউতে থাকা অবস্থায় গত ২৮ মে খালেদা জিয়াহঠাতজ্বরে আক্রান্ত হন। ৩০ মে তার জ্বর নিয়ন্ত্রণে আসে।

গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসাফিরোজায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনামুক্ত হন মে। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনেরউপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলরু রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালকুদার, কায়সার কামাল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com