দেশের নির্বাচনী ‘ব্যবস্থা’ এবং নির্বাচন কমিশন ‘ধ্বংসপ্রাপ্ত’: রব

0

ভোটার তালিকা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র একটি সমন্বিত প্রকল্প। এই সমন্বিত প্রকল্পে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ বা স্থানান্তরে বড় ধরনের সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করবে।

সোমবার ( জুন) জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আবদুর রব ভোটার তালিকা জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে স্থানান্তরে সরকারি উদ্যোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতি কথা বলেন।

আসম রব বলেন, ভোটার তালিকা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র একটি সমন্বিত প্রকল্প যা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে।

প্রকল্প হচ্ছেঅবিচ্ছেদ্যএবংঅখণ্ডিতপ্রকল্প। প্রকল্পের মালিকানা প্রজাতন্ত্রের পক্ষে কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনের।

ভোটার তালিকার সমন্বিত এই প্রকল্প থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র আলাদা করার কোনো সাংবিধানিক ক্ষমতা নির্বাহী বিভাগের নেই।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকার সমন্বিত প্রকল্প খণ্ডিতকরণ বা কমিশনের সম্পদ বা জনবল বিভক্তিকরণ বা ভোটার তালিকা রডাটাবেজ নির্বাহী বিভাগে স্থানান্তর করণ সবই হবে সংবিধান বহির্ভূত, বেআইনি এবং অসাংবিধানিক।

ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণের তত্ত্বাবধান, নির্দেশ নিয়ন্ত্রণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত যা সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদ নিশ্চিত করেছে। সুতরাং ভোটার তালিকা সংক্রান্ত কর্মে তদারক করা, নির্দেশ দেওয়া এবং পরিচালনা করার ক্ষমতা কেবলমাত্র নির্বাচন কমিশনের।

আসম রব বলেন, নির্বাচনী গোটা ব্যবস্থা পরিচালনা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশের সংবিধান ১১৮ এবং ১১৯ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা এবং দায়িত্ব বিভাজিত করে দিয়েছে। সংবিধান ক্ষমতার যে বিভাজন নির্ধারিত করে দিয়েছে যাকোনো কিছু দিয়ে প্রতিস্থাপন যোগ্য নয়।

ভোটার তালিকা প্রণয়নে সারাদেশের সার্ভার স্টেশনসহ সব ডাটাবেজ নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব সম্পত্তি। বিশ্বব্যাংকসহ দাতাসংস্থা গুলো ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্যই অর্থ জোগান দিয়েছে, নির্বাহী বিভাগের স্থাপনা বৃদ্ধির জন্য নয়।

নির্বাচন কমিশন গত ১৩ বছর ধরে সেনাবাহিনীর পূর্ণ সহযোগিতায় যে দক্ষতার সঙ্গে প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল ভোটার তালিকা প্রণয়নের বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করেছে তা সরকারের রাজনৈতিক দূরভিসন্ধির কাছে কোনোক্রমেই ধ্বংস হতে দেওয়া যায়না।

তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশন এমনিতেই ধ্বংসপ্রাপ্ত। অন্তত কাগজপত্রে হলেও সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গুলো আপাতত রক্ষা হোক। অদূর ভবিষ্যতে সংবিধানের চেতনা ভিত্তিতে রাষ্ট্রপরিচালনার অবশ্যই সুযোগ সৃষ্টি হবে, জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত হবে এবং নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাধীনভাবে তার দায়িত্বপালন করতে পারবে। সে লক্ষ্যেই নির্বাচন কমিশনকে সুরক্ষা দিতে হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com