জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার অভিযোগ বিএনপির

0

দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

সোমবার (৩১ মে) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদকসৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স অভিযোগ করেন।

প্রিন্স বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগেদুস্থ অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বস্ত্র বিতরণ, দোয়া মিলাদ মাহফিলসহ ব্যাপক কর্মসূচি পালিত হয়েছে এবং আজকেও তা চলমান রয়েছে। নানা স্থানে পুলিশি প্রচণ্ড বাধা উপেক্ষা করে শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকীর কর্মসূচি পালিতহচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘গতকাল শহীদ জিয়ার শাহদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, নড়াইল, কুষ্টিয়াসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতে পুলিশ প্রশাসন নির্লজ্জ ভাবে শাহাদাৎ বার্ষিকীর কর্মসূচিতে বাধা প্রদান তা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। কুষ্টিয়ায় কর্মসূচি পালনে পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করে, এমনকি দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হলে সেই পতাকাও নামিয়ে ফেলে পুলিশ। নড়াইল জেলায় এতিমদের জন্য রান্না করা খাবারও তুলে নিয়ে যায় পুলিশ, মসজিদেও দোয়া করতে দেয়া হয়নি। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি কার্যালয়সহ বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ইউনিট কার্যালয় গুলোতে আগে থেকেই তালাবদ্ধ এবং সেখানে উপস্থিত হয়েআইন শৃঙ্খলা বাহিনী বাধা প্রদান করে। শহীদ জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচিতেও মাজারের প্রবেশমুখে পুলিশ বিনাকারণে নেতাকর্মীদের ভেতরে ঢুকতে বাধা প্রদান করে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এছাড়া গত ৩০ মে আগের রাতে কয়েকটি এলাকায় দুস্থ মানুষদের জন্য রান্না সামগ্রীও উঠিয়েনিয়ে যায় পুলিশ। নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় পুলিশ ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা দুস্থ এতিমদের জন্য রান্না করা খাবার বিতরণের সময় তা কেড়ে নেয়। ধরণের গর্হিত কাজের জন্য আমরা ধিক্কার জানাই।

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনোই গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে না। এদের ঐতিহ্যই হচ্ছেক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসনকে যথেচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে বিরোধী দল দমনে সবসময় হিংস্র আচরণ করা। আওয়ামীলীগ বরাবরই ভিন্নমত, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, বাকব্যক্তি স্বাধীনতায় অবিশ্বাসী। এরা ক্ষমতা হাতে পেলেই বিরোধী দল দমনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক কোনও কর্মসূচি দূরের কথা, বিরোধী নেতাকর্মীদের সামাজিক যেকোনও আচারঅনুষ্ঠান কিংবা দোয়া মিলাদের মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলোতেও প্রশাসনকে দিয়ে বেপরোয়া আক্রমণ চালিয়ে তা পণ্ড করে দেয়।

প্রিন্স বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলবিএনপি পক্ষ থেকে দেশব্যাপী শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকীর কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসনের ন্যাক্কার জনক হামলা অনুষ্ঠান বানচালের ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বর্তমানআওয়ামী সরকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তথা বিএনপিকে ভয় পায় বলেই এধরণের অমানবিক ন্যাক্কার জনক কর্মকাণ্ড চালিয়ে শহীদ জিয়াকে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় থেকে মুছে ফেলার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু শহীদ জিয়াউর রহমান এমন একজন জনপ্রিয় নেতা দেশের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন যে তাঁকে শত ষড়যন্ত্র করেও মানুষের হৃদয় থেকে কখনোই মুছে ফেলা সম্ভব নয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com