কাজী নজরুল বাংলা সাহিত্যের প্রাণপুরুষ, বিংশ শতাব্দীর এক অগ্রণী শিল্প-শ্রষ্টা: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের একঅবি সংবাদিত প্রাণপুরুষ, বিংশ শতাব্দীর এক অগ্রণী শিল্প–শ্রষ্টা।
মঙ্গলবার (২৫মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, শত জুলুম, অন্যায়–অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার লেখনি দিয়ে কবি নজরুল বাংলা সাহিত্যকে করেছেন সমৃদ্ধ ও কালজয়ী। তিনি অত্যাচার সয়েছেন ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর।
তার জীবন ছিল দুঃসাহসিক অভিযাত্রীর মতো।
তিনি বলেন, পারিবারিক সীমাহীন দুঃখ দুর্দশার মধ্যেও তিনি নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য–চর্চায় ব্রতী ছিলেন।
কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সুরকার, সঙ্গীতজ্ঞ, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী নজরুল ছিলেন বহুমুখী বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী। তার ক্ষুরধার লেখনিতে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মন্ত্র উচ্চারিত হয়।
বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব কাজী নজরুল ইসলাম।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, কবি নজরুল দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি। তার কবিতা ও গানেমানবতা ও সাম্যের বাণী বিধৃত হয়েছে। তার কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার, সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। তাই নজরুল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এবং একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক। তাকে বলা হয় জাগরণের কবি এবং উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তিনি আমাদের জাতীয় কবি, তার কবিতা ও গান আমাদের মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
তিনি বলেন, কবির চল চল চল গানটি আমাদের জাতীয় রণসঙ্গীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি প্রত্যক্ষ ওপরোক্ষ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল ছিন্ন করে দেশ থেকে অন্যায় অবিচার ও অত্যাচার নির্মূল করতে তার লেখনির আবেদন চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা যোগাবে। পাশাপাশি সঙ্গীতে তার মানবপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেম এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি আত্মনিবেদিত ভক্তিমূলক গানের আবেদন চিরকালীন ও চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।