যুক্তরাষ্ট্র ও চীন দ্বন্দ্বের ‘ফ্লাশপয়েন্ট’ দক্ষিণ চীন সাগর
দক্ষিণ চীন সাগর সমুদ্র এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিল্ক রোডের সামুদ্রিক পথ, চীনের বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়াও হাইনান দ্বীপের চীনের পারমাণবিক প্রতিরক্ষার সামুদ্রিক ঘাঁটিও এই সাগর এলাকায় অবস্থিত।
চীন ২০১২ সাল থেকে দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলোর প্রশাসনিক কাঠামো উন্নত করেছে। প্যারাসেলের দ্বীপগুলোতে ছোট ছোট জেলে গ্রাম গুলোতে আধুনিক আবাসন তৈরি করে দিয়েছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
প্রাথমিক স্কুল, ব্যাংক, হাসপাতাল এবং মোবাইল যোগাযোগের ব্যবস্থা বসিয়েছে। মূল ভূখণ্ড থেকে পর্যটকরা নিয়মিত প্রমোদতরীতে দ্বীপগুলো ভ্রমণে যায়।
উন্নয়নের দ্বিতীয় ধাপে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ অধিগ্রহণের কাজও চীন এগিয়েছে। এই স্প্র্যাটলির ছোট ছোট প্রবালদ্বীপে গত ছয় বছরেচীন নৌ প্রকৌশল ও সামরিক স্থাপনা গড়ে তুলেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিমান অবতরণ ক্ষেত্র, নৌবাহিনীর রসদের মজুত ও বিমানঘাঁটি, গোলবারুদের বাংকার, রেডার ক্ষেত্র এবং ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র উেক্ষপক সরঞ্জাম।
অন্যদিকে, প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ এই এলাকায় নোঙর করছে। যে কারণে প্রায়ই উত্তেজনা বাড়ছে। সামরিক শক্তি প্রয়োগকরে চীনের এই নতুন দ্বীপগুলোকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্র রাখে। কিন্তু তার অর্থ হবে চীনের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়ানো, যেটা চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র কারোর জন্যই বাঞ্ছনীয় হবে না।
সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের জলসীমায় অবৈধভাবে একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ প্রবেশ করে। পরে ধাওয়া করে সেটিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি এর মধ্য দিয়ে চীনের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করারচেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসন বলছে, আন্তর্জাতিক ঐ সমুদ্র পথের স্বাধীনতা রক্ষায় তারা সব সময় সচেষ্ট থাকবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে পরিবর্তন হলেও দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে নীতির পরিবর্তন হয়নি।