গাজায় নিহতের সংখ্যা ২০০, অর্ধেকই নারী-শিশু
শিগগিরই গাজায় হামলা বন্ধ হচ্ছে না। রোববার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের পর সোমবার গাজা উপত্যকায় নতুন করে হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। রোববার ছিল ইসলাইলের চলমান বোমা হামলার অষ্টম দিন।এদিন দুটি আবাসিক ভবনে হামলা চালানোসহ কম পক্ষে ৪২ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে, এছাড়া আহত হয়েছে বহুলোকজন।
হামাস সূত্র অনুসারে রোববার হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল গাজার হামাস প্রধান ইয়াহিয়া আল সিনওয়ারের বাড়ি। এক সপ্তাহ আগে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গাজা উপত্যকায় ৫৮ জন শিশু ও ৩৪ জন নারীসহ কমপক্ষে ১৯২ জন নিহত হয়েছেন। সে হিসাবে নিহতদের ৪৭.৯২ শতাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলি হামলার জবাবে গাজা থেকে এক সপ্তাহ ধরে ছোড়া রকেটে দুই শিশুসহ ১০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দেশটির পক্ষথেকে জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি ইস্যুতে রোববার বৈঠকে বসে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো সমাধান তো দূরেরকথা, এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি পর্যন্ত দিতে পারেনি। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এ ধরনের পদক্ষেপের ফলে ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংকটের দুই রাষ্ট্র সমাধান ব্যাহত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস–গ্রিনফিল্ড বলেন, সংঘাত বন্ধে দুই পক্ষকে অস্ত্র বিরতিতে সম্মত করাতে অক্লান্ত চেষ্টা চালিয়েযাচ্ছে ওয়াশিংটন। এ সময় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল–মালিকি বলেন, ‘ইসরায়েল প্রায়ই আমাদের বলে তাদেরজুতো পরে দেখতে যে তারা কী পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অথচ তারা তো জুতোই পরে না।
‘মিলিটারি বুট পরে আমাদের ওপর চেপে বসেছে তারা। শনিবারও একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ১০জনকে হত্যা করেছে তারা। এই অমানবিকতার কী ব্যাখ্যা হতে পারে?’
জবাবে ইসরায়েলের স্থায়ী প্রতিনিধি গিলাড এরডান বলেন, ‘হামাসের ছোড়া রকেটে ১০ বছর বয়সী এক আরব–ইসরায়েলি মেয়েনিহত হয়েছে। বেসামরিক প্রাণহানি এড়িয়ে সন্ত্রাসীদের নির্মূলে যে নায়কোচিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল, সেটা দেখুন।’
আগের দিনের চেয়ে সোমবার আরো ভারী বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল। গাজার এপি প্রতিনিধি ফারেস আকরাম জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে প্রকম্পিত গাজার উত্তর থেকে দক্ষিণাঞ্চল। আল জাজিরার প্রতিনিধি সাফওয়াত আল–কাহলুত বলেন, শান্ত সময় ছিল সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা।
সূত্র: আলজাজিরা