সরকার গুম-খুন-মিথ্যা মামলা ও জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে বিএনপির অস্তিত্ব বিলুপ্ত করতে চায়: ফখরুল
জনবিচ্ছিন্ন সরকার গুম, খুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও জুলুম–নির্যাতন চালিয়ে বিএনপির অস্তিত্বচিরতরে বিলুপ্ত করে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
লাকসাম পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম–আহ্বায়ক ও সাংবাদিক মনির আহমেদকে মধ্যরাতে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার চেষ্টারবিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার বিএনপিকে চূড়ান্ত ভাবে ধ্বংস করার জন্য গুম–খুনের রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে, যাপবিত্র এই মাহে রমজানেও বন্ধ হয়নি। কথিত লকডাউনের নামে তারা বিএনপির নিরীহ নেতাকর্মীদের উপর ক্র্যাকডাউন চালাচ্ছে। জনবিচ্ছিন্ন সরকার গুম, খুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও জুলুম–নির্যাতন চালিয়েবিএনপির অস্তিত্ব চিরতরে বিলুপ্ত করে দিতে চায়। বিএনপি নেতা মনির আহমেদকে মধ্যরাতে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার চেষ্টা তারই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, লাকসাম পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম–আহ্বায়ক ও দৈনিক দিনকালের লাকসাম উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মনির আহমেদকে লাকসাম পৌর এলাকার নশরতপুর গ্রামের নিজ বসতবাড়ি থেকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে একদল দুর্বৃত্ত। ইতিপূর্বেও বিভিন্ন সময়ে সংবাদপত্রে আওয়ামী লীগ দুর্বৃত্তদের নানান অপকর্মের সত্য সংবাদ প্রকাশ করায় মনির আহমেদকে সরকারি দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা একাধিক বার হুমকি–ধমকি দিয়েছে, যা দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।গত ৩ মে মধ্য রাতেও মনির আহমেদকে গুম কিংবা হত্যা করার উদ্দেশ্যেই তার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হানা দেয়। এ বিষয়ে মনির আহমেদ লাকসাম থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি।
ফখরুল বলেন, বিএনপিকে ধ্বংসের চেষ্টা কখনোই সফল হবে না, কারণ বিএনপি জনগণের দল। এর আগে ২০১৩ সালের ২৭নভেম্বর লাকসাম বিএনপির দুই শীর্ষনেতা হিরু–হুমায়ুনকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেয়ার পর গত প্রায় ৮ বছরেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত ৩ মে একই ধরনের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লাকসাম পৌর বিএনপির যুগ্ম–আহ্বায়ক সাংবাদিক মনির আহমেদকে তার বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। মনির আহমেদ বিষয়টি বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক ৯৯৯ জরুরি সেবায় ফোন করে লাকসাম থানা পুলিশের সহায়তায় নিজেকে রক্ষা করেন।
ওইদিন দুর্বৃত্তরা সফল হলে মনিরকে গুম বা হত্যার মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার উদ্দেশ্য ছিল বলেও মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে বিএনপি নেতা মনির আহমেদকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করা দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তিনি।