সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এখনো ‘ঝুঁকিমুক্ত’ নন
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সদ্য করোনা মুক্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হলেও তিনি এখনো পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত নন।
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীর শারীরিক নানা জটিলতা দেখা দিয়ে থাকে। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও সে জটিলতা দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হলেও করোনা পরবর্তী জটিলতায় রোগীর শারীরিক অবস্থা বিভিন্ন দিকে টার্ন নিচ্ছে। সেকারণেই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কা রয়েই গেছে। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশযাত্রা আটকে দেয়ায় পরিবারের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন দলের নেতাকর্মীরা। হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়া পোস্ট কোভিড জটিলতায় ভুগছেন। করোনা পরবর্তীতে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল।তার এখন দিনে দুই–তিন লিটার অক্সিজেন লাগছে। রক্ত দেয়ায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। এখন তিনি স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন। তার ফুসফুস থেকে তরল জাতীয় পদার্থ (ফ্লুইড) দুই দফা অপসারণ করা হয়। তার ডায়াবেটিস এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের(খালেদা জিয়া) মতো বয়সী রোগীদের ক্ষেত্রে করোনা পরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। তার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তা ছাড়া ম্যাডামের আগে থেকেই বেশকিছু রোগ আছে। জেলখানা যাওয়ার পর সেগুলো আরো বেড়েছে। সব মিলিয়ে তার শারীরিক অবস্থা অবস্থা ভালো বলা যাবে না।
এ দিকে উন্নত চিকিৎসায় বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশ যাওয়া আটকে যাওয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফন্ট্রের নেতারাও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।