তিলে তিলে মারার জন্য অপকর্ম যা করার করেছেন, এখন মুক্তি দিন: গয়েশ্বর
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাকে তিলে তিলে মারার জন্য যে অপকর্মগুলো করেছেন তা বাদ দিয়ে এখন তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন। জরুরিভাবে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
রোববার (৯ মে) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১ এর উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ কালে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা জরুরি উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, আমাদের নেত্রীর চিকিৎসা সংকট আছে।
অর্থাৎ এই চিকিৎসাটা দেশের অভ্যন্তরের হসপিটাল গুলোতে যথেষ্ট নয়। সেকারণে পরিবারের পক্ষ থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
আমি সরকারের কাছে দাবি করব, তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।
তিনি বলেন, আপনাদের যা করার দেশনেত্রীকে করেছেন।
আর বেশি কিছু করা আপনাদের উচিত না। মানুষ বুঝেছে তাকে তিলে তিলে মারার জন্য এবং রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার জন্য আপনারা এই অপকর্ম গুলো গায়ের জোরে করেছেন। সুতরাং এই অপকর্ম বাদ দিয়ে দেশনেত্রীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।
সরকার লকডাউনের নামে বৈষ্যম সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে একদিকে চলছে মহামারি, অন্য দিকে লকডাউন। কী ধরনের লকডাউন তাও জানি না। এটা খোলা থাকবে, ওটা খোলা থাকবে না। অর্থাৎ এখানেও স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে বৈষ্যম সৃষ্টি করা হয়েছে। কোনো শ্রেণি–গোষ্ঠী যাতে অসন্তুষ্ট না হয়, তাদের ঠিক রাখতে লকডাউনের একরকম নীতি। আর অন্যদের জন্য অন্যরকম। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষ কি করবে? লকডাউনে ঘরে থাকা, স্বাস্থ্য বিধি মানা এটা প্রয়োজন। কিন্তু যেসব শ্রমজীবী মানুষের কাজ নেই, ঘরে থাকলে না খেয়ে মরবে, তারা তো ঘরে থাকবে না–এটাই স্বাভাবিক।
সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম।