গণবিচ্ছিন্ন সরকার গোটা দেশ ও জাতিকে আজ চরম বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে: মির্জা ফখরুল
সরকারের ‘উদাসীনতা, অযোগ্যতা ও অবহেলা’র কারণে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই গণবিচ্ছিন্ন সরকার গোটা দেশ ও জাতিকে আজ চরম বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) চিকিৎসা নিয়ে দুর্নীতি করছে। করোনার পরিসংখ্যান নিয়েও মিথ্যাচার করছে।’
বুধবার (০৫ মে) বিকেলে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ দুর্যোগ কালে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) উদ্যোগে ‘জেডআরএফ ট্রিটমেন্ট অ্যাপ’র এই উদ্বোধীন অনুষ্ঠান হয়। অ্যাপসটি স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতির মরহুমশ ফিউল বারী বাবুকে উৎসর্গ করা হয়। অ্যাপটির ওয়েব এড্রেস হচ্ছে– http://zrfbd.com/app/ZRF.apk।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে, করোনা মহামারিতে হাসপাতাল উধাও হয়ে গেছে। সরকার চিকিৎসা খাতে দুর্নীতির পাহাড় গড়ছে। স্বাস্থ্যখাত এখন চরম ভঙ্গুর। গোটা জাতি ও দেশকে আজ বিপদের মুখে ফেলেছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘সরকার করোনার কারণে কিছু প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেখানেও জনগণের জন্য কিছু করা হয়নি। সেইপ্রণোদনা নিয়েও দুর্নীতি করেছে। আসলে এই সরকার হচ্ছে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এমতাবস্থায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন যা করছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। কেননা জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ ধরনের সেবামূলক কাজকরে আসছে। করোনার শুরু থেকেই অসংখ্য কার্যক্রম করেছে। গরিব–অসহায় মানুষের পাশে এখনও রয়েছে ফাউন্ডেশন। এখনতারা মরহুম শফিউল বারী বাবুর নামে ট্রিটমেন্ট অ্যাপ উদ্বোধন করলো।’
তিনি বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় জনগণের প্রতি তাদের জবাবদিহিতা নেই। আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েএই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহি মূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করি।’
এসময় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন– ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মো: আশরাফুল হাসান মানিক, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবুর স্ত্রী বীথিকা বিনতে হোসাইন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।
জেডআরএফের ডা. সাজিদ ইমতিয়াজের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সবার জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন জেডআরএফের সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ছবিরুল ইসলাম হাওলাদার। অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেডআরএফের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।
ভার্চুয়াল সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ডা. মো: আব্দুস সালাম, ড. আবদুল করিম, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, আহমেদ শফিকুল হায়দার চৌধুরী পারভেজ, অধ্যাপক প্রকৌশলী মাহবুব আলম, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, অধ্যাপক ড. শেখ মনির উদ্দিন, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, ড. তৌফিক জোয়ার্দার, মিসেস শামীমা রাহিম, অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক ড. মো: নূরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো: তোজাম্মেল হোসেন, অধ্যাপক ড. মো: ইকবাল, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান চুন্নু, মুজিবুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল, শফিকুল ইসলাম, জাপান স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান জনি, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইউরোপের বিভিন্ন দেশথেকে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী।