ভারতের রাজনীতিতে বিজেপির জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি মমতার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচনে তৃতীয় দফায় জয় লাভের মধ্য দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছেন। রোববার বিধানসভার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে।
এদিকে বিজেপির একমাত্র বিকল্প হিসেবে নিজেকে দাবি করা সর্বভারতীয় দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গে দুইটি আসন জয়ের প্রত্যাশা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কোনো আসন লাভ করতে ব্যর্থ হয় দলটি। অন্যদিকে আসামে বিজেপি, কেরালায় বামপন্থীদের কাছে হেরে যায় কংগ্রেস।
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদ্বীপ সূর্যওয়ালা এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘কংগ্রেস একমাত্র জাতীয় দল যে বিজেপির বিকল্প হতে পারে যেহেতু সব রাজ্যে এটিই বিজেপির মোকাবেলা করছে।‘
কিন্তু আঞ্চলিক দল গুলোর প্রধানদের বার্তায় স্পষ্ট হয়েছে, একসময় কংগ্রেস নেতৃত্বের ইউপিএ জোটে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস একাকিই বিজেপিকে হারাতে পেরেছে। তাতে অন্য কারো সাহায্যের প্রয়োজন হয়নি।
নির্বাচনের ফলাফল অনুসারে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতিকে ভোটাররা প্রত্যাখ্যান করেছে। মমতার সরকারকে ক্ষমতা থেকে ছিটকে ফেলতে বিজেপি কোনো চেষ্টা বাদ না রাখলেও রাজ্যের বিধান সভায় আসন লাভে তিন অঙ্কে পৌঁছাতে পারেনি। যদিও দলটি মোট ২৯৪ আসনের মধ্যে দুই শ‘র বেশি আসন লাভের দাবি করে আসছিল।
মমতার এই জয়ের পেছনের কারণ হিসেবে এক বিজেপি নেতা বলেন, তাদের নেতৃত্ব পশ্চিমবঙ্গের মানুষের নাড়ি ও সংস্কৃতি বুঝতে পারেননি। একই কারণেই ২০১৯ সালে লোকসভার নির্বাচনে এগিয়ে থাকলেও দুই বছর পর এক শ‘ আসন লাভ করতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি।
তিনি বলেন, ‘মানুষ মেরুকরণ বা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে। মুসলমানরা প্রায়ই তৃণমূলের পক্ষে ভোট দিয়েছে।অপরদিকে বাঙালি হিন্দুরাও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে।‘
সূত্র : সিয়াসত ডেইলি