ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে ‘অর্থায়ন নিয়ে’ তদন্ত শুরু
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার ডাউনিং স্ট্রিটের অ্যাপার্টমেন্ট সংস্করণের অর্থায়ন নিয়ে দেশটির নির্বাচনী কমিশনের তদন্তের মুখে পড়েছেন। যুক্তরাজ্যের নির্বাচনী কমিশন বলছে, এই অর্থায়নে কোনও অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে সন্দেহ করার যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি আছে।
বিবিসি জানায়, জনসন ডাউনিং স্ট্রিটের ওপরে নিজেদের ফ্ল্যাটটি রিনোভেশন করেছিলেন। একাজে জনসন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বার্ষিক যে অর্থবরাদ্দ পান তার চেয়ে অনেক বেশি খরচ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফ্ল্যাটের পেছনে খরচ করার জন্য বছরে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ রয়েছে ৩০ হাজার পাউন্ড। কিন্তু ফ্ল্যাট সংস্কার কাজে ২ লাখ পাউন্ড খরচ হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
ইংল্যান্ডে স্থানীয় নির্বাচনের ৮ দিন আগে এবং ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডের আঞ্চলিক পরিষদ নির্বাচনের আগে থেকেই জনসন কোভিড–১৯ পরিস্থিতি সামাল দেওয়াসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন এবং বিভিন্ন অভিযোগের মুখে আছেন। এবার ১১ নং ডাউনিং স্ট্রিটের অ্যাপার্টমেন্ট সংস্কারের অর্থায়ন নিয়ে বেকায়দায় পড়লেন তিনি।
জনসনের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ডমিনিক কামিংস বলছেন, প্রধানমন্ত্রী ফ্ল্যাটের কাজের জন্য দাতাদের কাছ থেকে ‘গোপনে তহবিল নেওয়ার’ পরিকল্পনা করেছিলেন। রাজনৈতিক অর্থায়ন বিধি অনুযায়ী, কোনও রকম অনুদানের বিষয়ে জানিয়ে দেওয়াটাই নিয়ম। সেকারণে, জনসন তা গোপনে করে থাকলে কামিংসের মতে, সেই নিয়ম স্পষ্টতই ভঙ্গ হয়েছে। একইসঙ্গে এটি অনৈতিক এবং অবৈধও বটে।
যুক্তরাজ্যের বিরোধীদল লেবার পার্টি চায় ফ্ল্যাটের কাজের জন্য ঠিক কত খরচ হয়েছে এবং প্রাথমিক ভাবে কে সেই খরচ জুগিয়েছেতা প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ করুন।
এ ব্যাপারে সরকারের ভাষ্য হচ্ছে, এবছর ফ্ল্যাটের বড় ধরনের রিনোভেশনের জন্য খরচ প্রধানমন্ত্রী নিজেই ব্যক্তিগত ভাবে মিটিয়েছেন।
তবে এই কাজের জন্য অর্থ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসেছিল অনুদান কিংবা ঋণ হিসাবে, যা তিনি পরে শোধ করে দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী ওই কাজের জন্য অনুদানের অর্থ ব্যয় করা নিয়ে কখনও আলোচনা করেছিলেন কিনা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “সে সম্পর্কে কিছু বলতে হলে বা কোনও ঘোষণা দিতে হলে অবশ্যই ঠিক সময়েই তা করা হবে।”