রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে দমন-পীড়ণের এই রাজনীতি বেশি দিন চলবে না: শামা ওবায়েদ

0

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় লক ডাউন বাস্তবায়ন করতে যাওয়া প্রশাসনের লোকজনের সঙ্গে স্থানীয়দের বাগবিতণ্ডার পরআগুনহামলা ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বিএনপি।

দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম শনিবার দুপুরে ফরিদপুরের চকবাজারে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “গত এপ্রিল রাতে সালথার ঘটনা ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। এটি ঘটা উচিত ছিল না। গ্রামবাসী আবেগপ্রবণ হয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছে।এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।

কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বলছেন এটি পরিকল্পিত এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা এর সঙ্গেজ ড়িত। এটি একেবারেই মিথ্যা কথা। আমরা ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

গত এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলা প্রশাসনের লোকজন রামকান্তপুর এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে বা গবিতণ্ডা হয়। পরে সালথা থানা, উপজেলা পরিষদ সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়।

হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আট সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে জুবায়ের হোসেন (২০) নামে একজনের মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায়।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঘটনায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার এবং পাঁচ মামলায় ২৬১ জনের নাম উল্লেখসহ ১৭ হাজার জনকে আসামি করাহয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শামা ওবায়েদ বলেন, “হেফাজতের আড়ালে বিএনপি কাজ করেছে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন। অথচ হেফাজত তোপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কওমি জননী আখ্যা দিয়েছিল। সেই হেফাজতকে তো আওয়ামী লীগই লালনপালন করেছে।

সরকারের বিভিন্ন এজেন্সি গোয়েন্দা সংস্থা থাকা সত্বেও যদি হেফাজত সারাদেশে এত তাণ্ডব চালাতে পারে তাহলে সকলের কাছে এটি পরিষ্কার যে, হেফাজতকে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে লালনপালন করছে। এভাবে সারাবিশ্বে তারা দেখাচ্ছে যেহেফাজত এই তাণ্ডব চালাচ্ছে এবং আওয়ামী লীগই এই তাণ্ডব বন্ধ করতে পারে। এই রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, “ঘটনার রাতে পুলিশ যে চিত্র দিয়েছিল পরদিন দেখা গেল, মামলায় তা পুরাই উল্টো গেল। আমি অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার গ্রেপ্তার কৃতদের মুক্তি দাবি করছি।

বিরোধী দলকে মোকাবেলা করতে হলে রাজনৈতিক ভাবে সংগঠিত হয়ে মাঠে এসে মোকাবেলা করতে হবে। প্রশাসন দিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্র দিয়ে দমনপীড়ণ করে মিথ্যা মামলায় এলাকা ছাড়া করার এই রাজনীতি বেশি দিন চালাতে পারবেন না।

জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোদাররেস আলী ঈসা, ফরিদপুর শহর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এম টি আখতার টুটুল, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন তার সঙ্গে ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com