আওয়ামী লীগ সরকার উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

0

সালথার ঘটনায় সরকার উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দায়ের এবং গ্রেফতার করছেবলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় বিএনপি মহাসচিব সালথায় বিএনপি, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ নামেবেনামে চার হাজার জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ইতোমধ্যে ২১ জনগ্রেফতার এবং হয়রানীনির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেফতারকৃতদেরনিঃশর্ত মুক্তি সালথায় স্বাভাবিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান।

বৃহস্পতিবার বিএনপি কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বে থাকা দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ফরিদপুরের সালথায় গত এপ্রিল করোনা মোকাবেলায় সরকারের অপরিকল্পিত লকডাউনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় একজন পদস্থ সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তার কর্মচারী কর্তৃক একজন দোকান কর্মচারীকে নির্মম ভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদে স্থানীয় জনসাধারণ ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। জনসাধারণের বিক্ষোভ দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেপরোয়া গুলিবর্ষণ একজনকে হত্যার পর উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে উল্টো বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীসহ নামেবেনামে চার হাজার সাধারণ মানুষকে আসামি করে মিথ্যা মামলা দায়ের প্রমাণ করেসরকার মহামারী করোনা মোকাবিলা নয়, বরং মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিক ভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমন করতে মরিয়াহয়ে উঠেছে।

এসময় তিনি বলেন, সালথায় চার হাজার জনকে অজ্ঞাত রেখে ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার ৮৮ জনের মধ্যে অধিকাংশই বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমানে সালথায় পুলিশী গ্রেফতারী অভিযানের কারণে সারা এলাকা মানুষশূন্য হয়ে গেছে। সেখানেভয়, আতঙ্ক বিভীষিকাময় পরিবেশ বিরাজ করছে। গ্রেফতারের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশী অভিযানে নিরীহ মানুষকে হয়রানী নির্যাতন করা হচ্ছে। সালথার ঘটনার সাথে বিএনপি কোনোভাবে জড়িত না থাকলেও কেবলমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অথচ গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছেসালথারঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের উস্কানি ছিল।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, সরকারের উদাসীনতা, ব্যর্থতায় বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি চরম আকার ধারণকরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশে গত বছরের তুলনায় করোনাভাইরাস মহামারী এখন আরো প্রকট আকার ধারণকরেছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সংকটময় পরিস্থিতি সামাল দিতেপূর্বের বছরের মতোই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে সরকার। পরিস্থিতির ভয়াবহতা রোধে সরকার কোনো চিন্তাভাবনা ছাড়াই তড়িঘড়ি করে গত এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য দেশে লকডাউন বা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সরকার ঘোষিত লকডাউনের বিরুদ্ধে দেশের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। প্রকৃত অর্থে লকডাউন বলতে যা বোঝায় রাস্তাঘাটে তার সামান্যতম চিত্রও পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পিত কোনো পদক্ষেপ নেই।ফলে সরকার লকডাউন সঠিকভাবে কার্যকর করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, জোরপূর্বক নির্যাতননিপীড়ন চালিয়ে লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে এখন জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে সরকার। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতাও নেই তাদের। ১২ বছরের অধিক কাল ভয়াবহ দুঃশাসনের জন্য জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতেই হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com