ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তাণ্ডবে হেফাজতে ইসলাম জড়িত নয়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডবের ঘটনায় হেফাজতে ইসলাম জড়িত নয়। যারা এই হামলার সাথে জড়িত তারা হেফাজতে ইসলামের হতেপারে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা সাজিদুর রহমান।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে গিয়ে এ মন্তব্য করেন।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হেফাজতে ইসলামের জেলা নেতা ও জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার একটি প্রতিনিধিদল প্রেস ক্লাবে যায়।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক ও জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মোবারক উল্লাহ, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাশেমী, মাওলানা আলী আযম, মুফতি নোমান হাবিবী, মাওলানা বোরহান উদ্দিন আল মতিন, মুফতি মোহাম্মদ এনামুল হাসান, মাওলানা জাকারিয়া, মাওলানা তানভীর ও মাওলানা এরশাদুল্লাহ কাশেমী।
এ সময় বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন।
হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, আমরা প্রেস ক্লাবে এসেছি সমবেদনা জানানোর জন্য, দুঃখ প্রকাশকরতে। আজ থেকে হেফাজত–ওলামা আর সাংবাদিক ভাই ভাই। হেফাজতে ইসলাম বা কোনো মাদরাসা ছাত্র এসব ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত নয়।
তিনি বলেন, হরতালের দিন সকালে আমরা মিছিল শেষে ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছি হামলা ও ভাঙচুর করা যাবে না, সরকারি স্থাপনায় হামলা করা যাবে না। ওইদিন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। যদি কেউ করে থাকে তাহলে সে আমাদের বন্ধু নয়, আমাদের শত্রু। যারা এই হামলার সাথে জড়িত তারা হেফাজতে ইসলামের হতে পারে না। আমরা এর নিন্দা জানাই।
যারা এই ন্যক্কারজনক কাজের সাথে জড়িত তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে যেন হয়রানি না করা হয় তার দাবিও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদরাসা ছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। এ সময় পুলিশসুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ওডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথদত্ত ভাষা চত্বরসহ বেশ কয়েকটি সরকারি–বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় সদর হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী নিহত হন ১২ জন।