প্রধানমন্ত্রীকে তওবা করার আহ্বান হেফাজতের
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহকারী–মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন রাজি সরকার প্রধানকে ‘তওবা’ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনিএসব কথা বলেন। গতকাল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে এক রিসোর্টে মামুনুল হককে আটকে রেখে হেনস্তার প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রাজি বলেন, ‘মামুনুল হক ও তার স্ত্রীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যা, তা সত্য নয়। ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তিনি এ বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা আশা করবো তিনি তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন।’
মামুনুলের নারীসঙ্গীকে ‘সতী নারী’ উল্লেখ করে তাকে অপবাদ দেয়া একজন নারীর ‘চরিত্র হরণ’ বলেও মন্তব্য করেন রাজি।
তিনি বলেন, ‘মামুনুল হক তার স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গিয়েছিলেন। সেখানে ক্ষমতাসীন দলের বিশেষ করে ছাত্রলীগের লোকেরা তাকে হেনস্থা করেছে। তার নামে যে সমস্ত অডিও ক্লিপ বের করা হয়েছে এ বিষয়ে আমরা আইনগত পদক্ষেপ নেবো।’
সাখাওয়াত হোসেন রাজি বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ করতে পারতাম। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটা করিনি। আমরা ইচ্ছা করলে কয়েক ঘণ্টার নোটিশে ঢাকায় ৫ লক্ষ লোকের সমাবেশ করতে পারতাম। সেটাও করিনি।’
রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনে হেফাজতের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পবিত্র ইসলাম ধর্মের নামে সংগঠনটি ‘অপবিত্র’ কাজ করছে।’ তিনি হেফাজতের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেন।
হেফাজত নেতা মামুনুল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, ‘গতকালকে আপনারা দেখেছেন, এটা একদিকে ইসলামের নাম, ধর্মেরনাম, পবিত্রতার নাম– এতকিছু বলে অপবিত্র কাজ করে আজকে সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে ধরা পড়ে। (সংসদ জুড়ে হাততালি)। একটা রিসোর্টে হেফাজতের জয়েন্ট সেক্রেটারি ধরা পড়লো। সেটা ঢাকবার জন্য নানা রকমের চেষ্টা। পার্লারে কাজকরে এক মহিলা, একদিকে বউ বলে পরিচয় দেয়, আবার নিজের বউয়ের কাছে বলে– ‘অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পড়ে আমি এটা বলে ফেলেছি’।’