বিএনপি থেকে মোদি বিরোধী কোনো স্লোগান হয়নি, অযথা বিএনপিকে জড়ানো হচ্ছে: বিএনপি

0

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিএনপি কোনো বিরোধিতা করেনি বলে দাবি করেছেন দলটির সংসদসদস্য হারুনুর রশীদ।

গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেয়া বক্তব্যে তিনি দাবি করেন।

এমপি হারুন বলেন, ‘বিএনপি থেকে মোদি বিরোধী কোনো স্লোগান বা মোদির আগমন করা যাবে না ধরনের কোনো বক্তব্যদেয়া হয়নি।

সময় মোদির সফরের সূত্র ধরে হেফাজতের আন্দোলনের সাথে বিএনপিকে কেন জড়ানো হচ্ছে এমন প্রশ্নও তোলেন এমপিহারুন।

তার বক্তব্যের আগে আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষকী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদির যোগদান এবং নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনার প্রেক্ষিতে পয়েন্ট অব অর্ডারে কথা বলেন। সময় তিনি চলমান আন্দোলনে বিএনপির সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলেন। যার প্রেক্ষিতে বিএনপির এই সংসদ সদস্য পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তার জবাব দেন।

সময় হারুন বলেন, ‘যে বিষয়টি এই সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে ওই ব্যাপারে জানতে চাই; আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকী থাকবে? ৫০ বছরপূর্তি আমাদের স্বাধীনতার। এই সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা লাশ উপহার দিলাম। আমরা কী শান্তিপূর্ণ ভাবে সারাদেশের কোথাও সুবর্ণজয়ন্তী পালন করতে পেরেছি?’

শেখ সেলিমের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি থেকে মোদি বিরোধী বক্তব্য দেয়া হয়নি। কোনো কথা ছিল না। যেহেতু ১৭মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় সমস্ত কর্মসূচি বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন। ওই কারণে আমরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে সীমিত আকারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। জিয়াউর রহমানের মাজারেও খুবই সীমিত আকারে শ্রদ্ধা জানিয়েছি। কারণ করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।আমাদের জায়গা থেকে কর্মসূচিগুলো সীমিত করে দেয়া হয়েছে।

বিভিন্ন সময় জাতীয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ড হলে বায়তুল মোকাররম মজসিদে তার বিরুদ্ধে আন্দোলনহয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আমল পর্যন্ত ইসলাম বিদ্বেষী কোনো কর্মকাণ্ডকালে আমাদের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অন্দোলন হয়। ফিলিস্তিনে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন হলেও এখান থেকে আন্দোলন হয়। ফ্রান্সে আল্লাহ রাসুল : নিয়ে যখন কটাক্ষ করা হয়েছে, তখন বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকেই প্রতিবাদ করা হয়েছে।

সরকারের প্রতি উদ্দেশ করে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আপনারা প্রতিবাদবিক্ষোভ যারা করলেন, তাদের সাথে আলোচনা করতে পারতেন। যখন ভাস্কর্যমূর্তি নিয়ে দেশে একটি সংঘাতের তৈরি হলো তখন হেফাজতের সাথে তো সরকার আলোচনা করেছে। এর আগেও তো সরকার হেফাজতের সাথে আলোচনা করেছেন। আলোচনা করতেন যে, বিদেশি মেহমান রাআসছে তোমরা আন্দোলন বিক্ষোভ বন্ধ রাখো। সেই ক্ষেত্রে বিএনপিকে কেন জড়ানো হচ্ছে।

সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যদি মত প্রকাশের স্বাধীনতা বন্ধ করে দেন; তবুও সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ ভিন্নমত অবশ্যই সৃষ্টি হবে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক চর্চাগুলোকে মুক্ত করা দরকার। মতপ্রকাশের জায়গা গুলো আজ রুদ্ধ হয়ে গেছে। সেই অধিকার গুলো নিশ্চিত করেন। আমি বিতর্ক বাড়াতে চাই না। আজকের সঙ্কট হচ্ছে গণতন্ত্রের সঙ্কট। এই সঙ্কটের জন্য জাতি আজকে এই অবস্থার মধ্যে পতিত হয়েছে।

দেশের করোনা সংক্রমণের প্রসঙ্গ টেনে এমপি হারুন বলেন, ‘আমরা একটি মহাসঙ্কটময় সময় অতিক্রম করছি। আমি ব্যক্তিগত দরকারে ডিএনসিসি ভবনে করোনা আইসোলেশন সেন্টারে যা দেখলাম। হাজার হাজার মানুষ। সেন্টারটি স্বশস্ত্রবাহিনী পরিচালনা করছে। তারা বললেন সরকারকে বিষয়টি অবহিত করবেন। অন্তত ঢাকা শহরে তিনচারটি জায়গায় আইসোলেশনসেন্টার করা হোক। কারণ এখন আমাদের সংক্রমণের হার বাড়ছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com