আ.লীগ সরকার জনগণের সকল আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে: ফখরুল
শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একদিকে যখন কোভিড–১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ এর আক্রমণ সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষকে বিপদগ্রস্থ করছে জনমন আতংক সৃষ্টি করছে এবং অনির্বাচিত সরকারের উদাসীনতা ব্যর্থতা, দূর্নীতির কারনে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক হারেদ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের সংবিধান ও ন্যায় সংগত অধিকার আদায়ের সংগ্রাম কে এই দখলদারী ফ্যাসিস্ট সরকার দমন করবার জন্য হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন, নিপীড়ন, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের পরিমান উদ্বেগ জনক হারে বাড়িয়েই চলেছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে এবং সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রায় ৭জন কে গুলি করে হত্যা এবং পরের দুই দিনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী ও প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচীতে বেপরোয়া লাঠিচার্জ ওটিয়ারগ্যাস সেল, গুলি করে মোট ২০ জনকে হত্যা জাতির জীবনে এক কলংক জনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। প্রমাণিত হয়েছে যেএই অনির্বাচিত সরকার তাদের বেআইনী ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রের সকল মূল্যবোধকেধ্বংস করে, একদলীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার হীন চক্রান্ত করছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করারজন্য আবারও মিথ্যা প্রচারণা, মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের পথ বেছে নিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারী বাহিনী ও পুলিশ কর্তৃক হত্যা, আওয়ামী এজেন্টদের দ্বারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ি–ঘর ভাংচুর ওলুটপাটের ঘটনা এবং সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য অডিও নাটক সাজিয়ে বিএনপি নেত্রী নিপুন রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার, রিমান্ড নেওয়া ও সারা দেশে পুনরায় হাজার হাজার অজ্ঞাত নামা আসামীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিএনপি নেতা–কর্মীদের হয়রানী করার হীন পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গুলো দেখলেই এটা স্পষ্ট হবে যে, মূল লক্ষ্যই হচ্ছে বিরোধী দলকে পুনরায় মামলা মোকদ্দমায় বেড়া জালে আটকে গণতন্ত্র উদ্ধার, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষার আন্দোলনকে ব্যাহত করা, দমন করা।
ফখরুল বলেন, ঢাকায় ৮টি মামলায় কয়েক হাজার আসামী, চট্টগ্রাম (হাটহাজারীতে) কোন মামলা করা হয়নি। অথচ বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিলে পুলিশের হামলায় প্রায় ৫০ জন আহত এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা: শাহাদাতসহ প্রায় ২৪ জনকে গ্রেফতার যার মধ্যে মহিলা হচ্ছেন ১৫ জন এবং ইতিমধ্যে ডা: শাহাদাতসহ প্রায় ১৫জনকে রিমান্ড নেওয়া হয়েছে এবং ৫ জন মহিলা কারাগারে।
এছাড়াও হবিগঞ্জে মামলা ১টি ৪০০জন অজ্ঞাতনামা আসামী এবং বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র জনাব গউসের ছেলে ব্যারিষ্টার মঞ্জুরুল কিবরীয়া প্রীতমসহ অনেক গ্রেফতার। নারায়ণগঞ্জে ৭টি মামলায় ৩,৯০০ আসামী, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুনসহ১৬৬ জন বিএনপি’র বাকী অজ্ঞত নামা।
কিশোরগঞ্জে ২টি মামলা ৬৪জন বিএনপি, ২২৫০ জন অজ্ঞাতনামা।
তিনি বলেন, ঢাকায় হেফাজত আহুত হরতালের দিনে অর্থাৎ ২৮ মার্চ ২০২১ তারিখে বিএনপি নেতা এ্যাড. নিপুন রায় চৌধুরী কেরায়ের বাজার তার বাসা থেকে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তার সঙ্গে দূব্যবহার করে তাকে গ্রেফতার করে। ওইদিনেই একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে জনৈক আরমানের সঙ্গে তার কথোপকথনের একটি বানোয়াট অডিও প্রচার করে যাসম্পূর্ণভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরী করা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, এ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী একজন কর্মরত আইনজীবী, একজন সক্রিয় মানবাধিকার কর্মী এবং সচেতন রাজনীতিক। কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রশ্নই উঠতে পারেনা। এটা সম্পূর্নভাবে একটি ষড়যন্ত্রমূলক, সাজানো তৈরী করা এবং তাকে মিথ্যা দোষারপ করার একটি জঘণ্য চক্রান্ত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পরে থেকেই অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে আমাদের সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচনী তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে এসেছে অথচ এই দাবী ছিলো তাদেরই এবং ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন আইন তৈরী করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে এক তরফা ভোটার বিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠান করে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষণাকরে একতরফা পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন করেছে। ২০১৩, ১৪, ১৫তে বিরোধী দলের ওপরে নজীর বিহীন অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, গুম ও খুনের মধ্য দিয়ে এবং বিরোধী দলের প্রধান নেতা এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ৩৫ লক্ষ্য সক্রিয় রাজনৈতিক নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১ লক্ষ্য মিথ্যা, গায়েবী মামলাদায়ের করে বিরোধী দলকে, নিশ্চিহ্ন করা এবং ভিন্ন মতকে স্তব্ধ করার হীন চক্রান্ত করছে।
ফখরুল বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে নির্বাচনের আগের রাতেই সকল প্রতিষ্ঠান গুলোকে বেআইনী ভাবে ব্যবহার করেনির্বাচনের কল্পিত ফলাফল ঘোষণা করেছে এবং পুনরায় ক্ষমতায় দখল করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে একদলীয় শাসন, বাকশালের ন্যয় একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। মুক্তিযুদ্ধে জনগণের আশা–আকাংখাকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে। মিথ্যা মামলা দায়ের করা আওয়ামী লীগের এই বেআইনী সরকারের জনমতকে দমন করার একটা বড় যন্ত্র।
মির্জা ফখরুল বলেন, ইতি মধ্যে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান গুলোকে বিচার বিভাগ, আইন–শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসনসহ সকলরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকেই চূড়ান্তভাবে দলীয় করন করেছে। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসা বাণিজ্যের সকল ক্ষেত্রে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করা ইতিমধ্যেই দেশকে একটি স্বৈরাচারী কতৃত্ববাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, গণতান্ত্রিক বিশ্ব এই ফ্যসিষ্ট সরকারের হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। বিনা বিচারে হত্যা, ডিজিটাল সিকিউরিটির মাধ্যমে ভিন্নমত দমন সাংবাদিদের হত্যা, নির্যাতন, মামলা দিয়ে মত প্রকাশ দমনের ঘটনা, মানবাধিকার লংঘনগুলো এখন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উদ্বেগের কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
ফখরুল বলেন, সম্প্রতি আল জাজিরার প্রতিবেদন, ইকনমিস্ট পত্রিকার প্রতিবেদন, জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়েসেভ্যেলে প্রচারিত প্রতিবেদন এবং অতি সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বর্তমান বেআইনী সরকারের সন্ত্রাস এবং নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহারের মাধ্যমে ২০১৮ নির্বাচনে নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করে পুনরায় ক্ষমতা দখল করারচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। এটা এখন স্পষ্ট এবং প্রমাণিত যে এই বেআইনী আওয়ামী লীগ সরকার শুধু অন্যায় ভাবে ক্ষমতা ধরেরাখবার জন্য বিরোধী দলের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে অতীতের মতই হয়রানী করছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখার জন্য দলের চেয়ারম্যান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ, সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ অসংখ্য নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতা মামলা দয়েরও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে। সর্বশেষ রাজশাহী, খুলনায় রাজনৈতিক বক্তব্য রাখায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি সাবেক মেয়র বুলবুল, সম্পাদক মিলনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ একই সূত্রে গাথা। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বানোয়াট, সাজানো।
সম্প্রতি ঘটনা গুলিতে বিএনপি ও অঙ্গ–সংগঠনের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ একই সেই জঘন্য চক্রান্তের ধারাবাহিকতা।
ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ আজ চরম রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য সংকটের মধ্যে পড়েছে। স্বাধীনতার ৫০বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পরেও শান্তিপূর্ণ ভাবে নিরপেক্ষ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে আওয়ামীলীগ ধ্বংস করে দিয়েছে। এমন কি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী দল আগ্রহী নয়। বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ ও অযোগ্য। প্রধান কারন হচ্ছে আওয়ামী লীগের একদলীয় শাসন ব্যবস্থাপ্রতিষ্ঠা করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের চক্রান্ত। সেই লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রশাসনকে ভয়ংকর দলীয় করন করাহয়েছে। ন্যায় বিচার বিচার সূদূর পরাহত। অর্থনীতি, সাপ্লায়েরস ক্রেডিড ঋণের জালে পরনির্ভরশীল এবং জনগণের আয় হ্রাসকরছে। দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, জবাব দিহিতা, ভংগুর অর্থনীতিতে পরিনিত করেছে। ধনি শুধু ধনি হচ্ছে, গরিব আরো গরিব হচ্ছে।চাল, ডাল, তেলসহ সকল পণ্যের মূল্য আকাশচুম্বি অথচ কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল পাচ্ছে না। শ্রমিক ন্যায্য মজুরীহতে বঞ্ছিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একে বারে ভেঙ্গে পড়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, কোভিড–১৯ করোনা ভাইরাস মোকাবেলার কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে সরকার সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ। এবারের করোনা আক্রমণ ইতিমধ্যে সেই সত্যকে জনগণের সমানে আতংকের সঙ্গে তুলে ধরেছে। শিক্ষা ব্যবস্থা, উন্নয়ন উপযোগীতোনয়ই, উপরন্ত শিক্ষিত বেকার তৈরী করছে। সামগ্রীক ভাবে এই বেআইনী সরকার বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চলেছে।
তিনি বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারনে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমদের অভিন্ন নদী পানির হিস্যা সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরীককে হত্যা, ভারসাম্য বাণিজ্য থেকে বাংলাদেশ পুরোপুরি বিঞ্ছিত হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এই অবৈধ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরকরে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এদেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল বন্দি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি। এবং দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় দূঃশাসন, দূর্নীতি ও গণতন্ত্র হত্যা দায়নিয়ে এই অবৈধ সরকারকে জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
এসময় তিনি দানবীয় কর্তৃতবাদী দখলদার বেআইনী সরকারকে সরিয়ে জনগণের পার্লামেন্ট ও সরকার গঠনের লক্ষ্যে দেশের সকল গণতান্ত্রিক দল সংগঠন ও ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলবার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।